লাহোর: ইমরান খানকে টেক্কা দিলেন বিশ্বকাপ জয়ী দলে তাঁরই সতীর্থ৷ যুদ্ধ নয়, বরং দু’দেশেরই উচিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা৷
ভারতকে সৌহাদ্যের বার্তা দিয়ে ওয়াসিম আক্রম টুইটারে লেখেন, ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমি ভারতের কাছে আবেদন করছি, পাকিস্তান তোমাদের শত্রু নয়৷ তোমাদের শত্রু হল আমাদের শত্রু৷ কোনও রক্তক্ষয়ের আগে আমাদের বোঝা উচিত দু’জনেই একই যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই করছি৷ আতঙ্কবাদের বিরুদ্ধে লড়তে হলে আমাদের আলিঙ্গন করতে হবে৷’
With my heavy heart I appeal to yours, India,Pakistan is not your enemy, Your enemy is our enemy! How much more blood needs to be spilled before we realise we are both fighting the same battle.We need brothers in arm if we want to beat this war on terror #TogetherWeWin #NoToWar
— Wasim Akram (@wasimakramlive) February 27, 2019
প্রাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শান্তির বার্তা দেওয়ার পর এই টুইট করেন ওয়াসিম৷ ১৯৯২ বিশ্বকাপ জয়ী ইমরানের দলের অন্যতম সৈনিক দেশের কঠিন পরিস্থিতিতেও ক্যাপ্টেনের পাশে দাঁড়ালেন তিনি৷ যুদ্ধ নয়, বরং দুই প্রতিবেশি দেশকেই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল হতে বললেন ওয়াসিম৷
মঙ্গলবার বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার বোম বর্ষণের পর প্রত্যাঘাতের হুমকি দিয়েছিল পাকিস্তান৷ বুধবার সকালে নিয়ন্ত্ররেখা অতিক্রম করে জম্মু-কাশ্মীরে ভারতীয় মিলিটারি ঘাঁটিতে হামলা চালায় পাক বায়ুসেনা৷ কিন্তু ভারতীয় বায়ুসেনার তাড়া করে বোমা ফেলতে ফেলতে পালিয়ে যায় তারা৷ তবে যাওয়ার সময় ভারতীয় বায়ুসেনা পাক বায়ুসেনার এফ-১৬ কে গুলি করে নামায়৷
এর পরই ভারতের প্রতি শান্তি বার্তা দেন পাক প্রধানমন্ত্রী৷ শান্তির বার্তা দিলেও আতঙ্কবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করেননি ইমরান৷ পাক প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘আমরা আজ অপারেশন করেছি এটা দেখাতে যে, তোমরা নিয়ন্ত্ররেখা লঙ্ঘন করলে আমরাও পারি৷ কিন্তু এটা চলতে থাকলে একটা সময় আসবে, যখন পরিস্থিতি আমার বা নরেন্দ্র মোদী কারোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে না৷’
কিন্তু ওয়াসিম এদিনই ইমরানকে মনে করিয়ে দেন সন্ত্রাসবাদ নির্মূল না-করলে নয়া পাকিস্তান সম্ভব নয়৷ বুধবার পূর্ব চিনের শহর উঝানে ভারত, রাশিয়া ও চিনের বিদেশ মন্ত্রীর বৈঠকে আতঙ্কবাদ নির্মূল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ শুধু তাই নয়, যারা আতঙ্কবাদকে সাহায্য করবে তাদের বিরুদ্ধেও আন্তর্জাতিক স্তরে বিচার করার শপথ নেয় এই তিন দেশ৷ এর পরই পিছু হঠার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.