কলকাতা: রাজ্যে এলেন দুই পুলিশ পর্যবেক্ষক। কলকাতায় পৌঁছলেন বিবেক দুবে ও অজয় নায়েক। রাজ্যের নির্বাচনী প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। কমিশনের পাঠানো এই দুই পুলিশ পর্যবেক্ষকের কথা হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের সঙ্গেও। এর আগে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তাঁরা।
বাংলায় আসন্ন বিধানসভা ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে তৎপর জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই লক্ষেই এগোচ্ছে কমিশন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের জেলায়-জেলায় পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্থানীয় পুলিশকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জেলা-জেলায় চলছে রুটমার্চ। একইসঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতেও তৎপরতা নিচ্ছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। আগামী ২৭ মার্চ রাজ্যে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। তার আগে রাজ্যে ৬৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে যাবে।
বাংলায় এবার ৮ দফায় হবে বিধানসভা ভোট। বাংলা সহ পাঁচ রাজ্যেই ভোট গণনা ২ মে। পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার ভোট ভোট ২৭ মার্চ। এই দফায় ভোট হবে ৩০টি আসনে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া-১, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর-১, পূর্ব মেদিনীপুর-১-এ ভোট গ্রহণ হবে। দ্বিতীয় দফার ভোট ১ এপ্রিল। ৩০টি আসনে হবে। ভোট গ্রহণ হবে বাঁকুড়া-২, পশ্চিম মেদিনীপুর- ২, পূর্ব মেদিনীপুর- ২, দক্ষিণ ২৪ পরগনা – ১।
তৃতীয় দফায় ভোট হবে ৬ এপ্রিল। ৩১ টি আসনে হবে। এই দফায় ভোট হাওড়া-২, হুগলি – ২, দক্ষিণ ২৪ পরগনা – ৩। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ১০ এপ্রিল। ৪৪ টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। পঞ্চম দফায় ৪৫টি আসনে ভোট হবে ১৭ এপ্রিল। এই পর্যায়ে ভোট হবে, উত্তর ২৪ পরগনা-১, নদিয়া- ১, পূর্ব বর্ধমান-১ , দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি৷
এরই পাশাপাশি ষষ্ঠ দফায় ভোট হবে ২২ এপ্রিল। সপ্তম দফায় ভোট গ্রহণ হবে ২৬ এপ্রিল ও অষ্টম তথা শেষ দফায় ভোট হবে ২৯ এপ্রিল। বিধানসভা ভোটের জন্য এরাজ্যের বিশেষ পর্যবেক্ষক করা হয়েছে অজয় নায়েককে। মৃণালকান্তি দাস ও বিবেক দুবেকে বিশেষ পুলিশ অবজার্ভর করা হয়েছে।
রাজ্যে ভোটে আয়-ব্যয়ের পর্যবেক্ষক বি মুরলিকুমার। এবার রাজ্যে পৌঁছে গিয়েছেন বিবেক দুবে ও অজয় নায়েক। এই দুই পর্যবেক্ষক রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বিষয়টির উপরেই মূলত জোর দেবেন। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট প্রক্রিয়া পরিচালনা করতে সবরকম তৎপরতা নেবেন তাঁরা। সেই লক্ষ্যেই কলকাতায় এসেছেন তাঁরা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.