নয়াদিল্লি: বহু প্রতীক্ষিত এবং প্রত্যাশিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আজ চরম বাস্তব৷ ট্রায়ালের গণ্ডি টপকে এখন সারা বিশ্বে একাধিক ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে৷ ভারত সহ বিভিন্ন দেশে শুরু হয়ে গিয়েছে গণ টিকাকরণ৷ তবে কিছু টিকা হয়তো অনেকের শরীরের জন্যই প্রযোজ্য নয়৷ সে সকল মানুষের জন্য বিজ্ঞানীদের উপহার ন্যাজাল স্প্রে৷ যা SARS-CoV-2 সংক্রমণকে সাময়িক ভাবে আটকাতে সক্ষম৷
রিপোর্ট অনুযায়ী গত ১১ জানুয়ারি প্রথম ন্যাজাল স্প্রের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে৷ দেখা গিয়েছে, এই স্প্রে ৯৯.৯ শতাংশ করোনাভাইরাসের জীবাণু মারতে সক্ষম৷ বর্তমানে সারের অ্যাসফোর্ড এবং সেন্ট পিটার্স হসপিটাল এনইউচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্টে চলছে ন্যাজাল স্প্রে’র ট্রায়াল৷
ন্যাজাল স্প্রেকে সাধারণত SaNOtize Nitric Oxide Nasal Spray বলা হয়ে থাকে৷ এই স্প্রে করোনা ভাইরাসকে মারতে সক্ষম এবং এটি ভাইরাসকে ফুসফুস পর্যন্ত পৌঁছতে দেয় না৷
কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে অবস্থিত SaNOtize রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন দ্বারা এই চিকিৎসা পদ্ধতি বিকশিত হয়েছে৷ উটাহ স্টেট ইউনিভার্সিটির অ্যান্টিভাইরাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের স্বতন্ত্র ল্যাব টেস্টে এটি করোনভাইরাসকে মারতে ৯৯.৯ শতাংশ কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।
এই ন্যাজাল স্প্রে ইঁদুরের উপরেও প্রয়োগ করা হয়েছে৷ তাতে দেখা গিয়েছে, সংক্রমণের পরের দিনই এটি ৯৫ শতাংশ কার্যকর হয়েছে৷ সম্প্রতি কানাডায় ন্যাজাল স্প্রে’র দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে৷ এই ট্রায়ালে অনুমোদন দিয়েছে হেলথ কানাডা৷
SaNOtize চিকিৎসা নাইট্রিক অক্সাইডের উপর ভিত্তিশীল৷ এই চিকিৎসা ন্যাজাল স্প্রে, গারগেল বা ন্যাজাল লেভেজের মাধ্যমে করা হয়৷ বেশ কয়েকটি ন্যাজাল কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন এখন বিশ্বজুড়ে তৈরি করা হচ্ছে৷ এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে নাসারন্ধ্র দিয়ে৷ কিন্তু কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে বাহুতে৷
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড ভ্যাকসিন অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দেওয়া ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ থাকলেও ন্যাজাল ভ্যাকসিন বাচ্চাদের দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না৷ SANOtize এর ট্রায়াল সফল হলে তা এই বছর গ্রীষ্মের মধ্যেই বেশ কয়েকটি দেশ ব্যবহার করতে শুরু করবে৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.