স্টাফ রিপোর্টার, চুঁচুড়া: ত্বহা সিদ্দিকির সঙ্গে বৈঠক অধরাই রইল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ও বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের। ত্বহার বদলে অবশ্য সম্পর্কে তাঁর তুতো ভাই ইব্রাহিম সিদ্দিকির সঙ্গে কিছু ক্ষণ আলোচনা হয়েছে অধীর-মান্নানের। কিন্তু ত্বহা স্বয়ং বৈঠকে না বসায় উদ্বিগ্ন তাঁরা।
রাজ্যের বিভিন্ন নির্বাচনে কংগ্রেসের সংখ্যালঘু ভোট অনেকটাই কমেছে। তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক ধরে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ প্রদেশ কংগ্রেসের কাছে। সেটা বুঝেই মঙ্গলবার ফুরফুরা শরীফে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে দলীয় নেতাদের একটি প্রতিনিধিদল। সেখানে পীর সাহেবদের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল তাঁদের।
কিন্তু ওই বৈঠকে ত্বহা সিদ্দিকি ছিলেন না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা জোরদার হয়েছে যে, রাজ্য কংগ্রেসের দুই শীর্ষনেতাকে কৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন ত্বহা।
ইব্রাহিম সিদ্দিকির সঙ্গে বৈঠকের পর অধীর বলেন, ‘‘ ফুরফুরা শরিফ বাংলার ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের কাছে একটা পিঠস্থান ও তীর্থস্থান। সেই তীর্থস্থানের যাঁরা পরিচালক, তাঁদের কাছে এসে আমরা একটাই কথা বলেছি— বাংলার রাজনীতি ধর্মনিরপেক্ষ।’’
অধীর আরও বলেন, ‘‘কংগ্রেস এবং বাম আগামিদিনে জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে চাইছে। বাংলাকে রক্ষা করার স্বার্থে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে মজবুত করা দরকার। তাই আপনারা আমাদের দোয়া করবেন। সিদ্দিকিদের কাছে এটাই আবেদন করলাম।”
উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত বিহার নির্বাচনে মাথা তোলার পরই এবার বাংলাকে টার্গেট করেছে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম)। ২০২১-এ পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটে লড়ার ঘোষণা করেছে এআইএমআইএম। রাজনৈতিক মহল মনে করছে তাদের এই ঘোষণা উদ্বেগ বাড়িয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, সেই কারণেই বাংলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপরে যাদের অনেকটাই প্রভাব আছে বলে মনে করা হয়, সেই ফুরফুরা শরীফে গিয়েছিলেন অধীর চৌধুরীরা।
উল্লেখ্য, মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুরে এখনও কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছে সংখ্যালঘু ভোট।দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সিপিএমের দখলেও কিছু সংখ্যালঘু ভোট এখনও অবশিষ্ট রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে এআইএমআইএম প্রার্থী দিলে দুই দলের পক্ষেই সমস্যা হয়ে যাবে বলে পর্যবেক্ষকদের মত।
এআইএমআইএম-কে কীভাবে সামলানো হবে, এনিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা হয়েছে কংগ্রেসে। আলিমুদ্দিনেও বৈঠক হয়েছে বলে খবর। দুই দলই মনে করছে, মেরুকরণের ফায়দা তুলে নিতে পারে এআইএমআইএম ও বিজেপি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.