কলকাতা: দেখতে দেখতে ৩০০ দিন পেরিয়ে গেল যাদবপুরের শ্রমজীবী ক্যান্টিন। অতিমারী পরিস্থিতিতে মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেওয়া অঙ্গীকারের যে উদ্যোগ বাম ছাত্র-যুবরা নিয়েছিল সেই ধারা এখনও অব্যাহত । এই কঠিন পরিস্থিতিতে যে উদ্যোগ তারা নিয়েছিল বুধবার তা ৩০০ দিন ছুঁয়েছে।
এই উপলক্ষে বুধবার যাদবপুরে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এলাকায় অগণিত মানুষের সমারোহে গানে কবিতায় মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছেন। এখানকার কর্মীদের অভিনন্দন জানাতে সেখানে এদিন উপস্থিত ছিলেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম, বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী সহ বেশকিছু দলীয় নেতা।
সেলিম এদিন এই উদ্যোগের জন্য দলীয় কর্মীদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, যখন চারদিকে জুলুমবাজি এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করে ভোটের রাজনীতি করছে তৃণমূল বিজেপি তখন বামপন্থীরাই রুটি রুজির মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। সুজন চক্রবর্তী এদিন তার বক্তব্যে,এর উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি যারা এমন উদ্যোগকে নানাভাবে সহযোগিতা করছেন তাদেরও অভিনন্দন জানান।
এমনিতে এই ক্যান্টিন থেকে প্রতিদিন গড়ে ৪৫০-৫০০ জনকে ২০ টাকায় সহায়ক মূল্যে লাঞ্চ প্যাকেট দেওয়া হয়। যাদের অবস্থা খুব খারাপ তাদের অবশ্য বিনামূল্যে দেওয়া হয়, গড়ে তাদের সংখ্যা ৭৫-১০০জন।
এই ক্যান্টিনের কাজে ছাত্র ও যুব ফ্রন্টের ৭৫ কর্মী যুক্ত রয়েছেন। এরা রুটিন করে ডিউটি ভাগ করে নিয়েছেন, প্রতিদিন ২৫-৩০ জন কাজ করেন। প্রাথমিকভাবে সাধারণত মেনুতে থাকে ভাত দু রকম তরকারি। কোনও কোনও দিন ভাতের সঙ্গে এক রকম সবজি এবং ডিম থাকে। বিশেষ দিনে ভালো খাবারের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হয়।
এই উদ্যোগের কথা জানতে পেরে অনেক সহৃদয় মানুষ এগিয়ে আসছেন শ্রমজীবী ক্যান্টিনকে শ্রম অথবা অর্থ দিয়ে সাহায্য করতে। দেখা যাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরেই স্বহৃদয় ব্যক্তি অথবা সংগঠন এগিয়ে আসায় এখন বেশিরভাগ দিনই এই ক্যান্টিন ভাতের সঙ্গে মাছ অথবা মাংস দিতে সক্ষম হচ্ছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.