পাঞ্জাব: বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট৷ যদিও বিরোধীরা আরও আগেই লোকসভা ভোট করাতে আগ্রহী৷ এদিকে, বিভিন্ন রাজ্যে উপনির্বাচনের পর লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে বিজেপি৷ ফলে আগামী লোকসভা ভোটকে মাথায় রেখে রাজ্যে রাজ্যে নিজেদের এনডিএ জোটকে শক্তিশালী করতে মাঠে নেমে পরেছে বিজেপি৷ বিহার, মহারাষ্ট্রের এবার পাঞ্জাবে নজর গেরুয়া শিবিরের৷
বিহারের নীতীশ কুমার ও মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরের পর এবার পাঞ্জাবে শিরোমণি অকালি দলের সঙ্গে লোকসভা ভোট ও জোট নিয়ে বৈঠক সারলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ৷ বিহারে জনতা দল ইউনাইটেড ও মহারাষ্ট্রে শিবসেনা, বিজেপির দুই পুরোনো শরিক৷ যদিও শেষ একবছরে দুই দলের সঙ্গেই সম্পর্ক খারাপ হয়েছে পদ্ম শিবিরের৷ তাই পরপর দুদিন দুদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিজেপি৷
তেমনি পাঞ্জাবে শিরোমণি অকালি দলের সঙ্গেও জোট আছে বিজেপির৷ সেই জোটকেই আরও জোরদার করতে চন্ডীগড় গিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বললেন অমিত শাহ৷ ‘সম্পর্ক ফর সমর্থন’ ইস্যুতে এবার পাঞ্জাবে শিরোমণি অকালি দলকেও এনডিএ জোটে ধরে রাখল বিজেপি৷
বৃহষ্পতিবার অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন শিরোমণি অকালি দল নেতা ও পাঞ্জাবের পাঁচবারের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদল৷ ছিলেন তাঁর পুত্র ও দলের সভাপতি সুখবীর সিং বাদলও৷ প্রধানত: লোকসভা ভোট ও পাঞ্জাবে লোকসভা আসন সংক্রান্ত বিষয়েই কথা হয়েছে বলে জানা গেছে৷
পাঞ্জাবও এবার লোকসভা ভোটে মাথাব্যথা বিজেপির৷ শিরোমণি অকালি দলের সঙ্গে জোট করেও ২০১৭ সালে পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে নি এনডিএ জোট৷ শুধু হেরে যাওয়াই নয়, কংগ্রেস জোট ও আপেরও পিছনে থেকে তৃতীয় স্থানে শেষ করেছে বিজেপি শিরোমণির এনডিএ জোট৷ ২০ টি সিট পেয়ে এনডিএ কে সরিয়ে বিরোধী দলের মর্যাদা পায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ দল৷ আর, ১০ বছর ক্ষমতায় না থাকা কংগ্রেস ৭৮ টি আসন পেয়ে এখন পাঞ্জাবের ক্ষমতায়৷ আর এনডিএ জোট ৪১ টি আসন হারিয়ে ৫৬ থেকে নেমে এসেছে মাত্র ১৪ টি আসনে৷
অন্যদিকে, পাঞ্জাবে ১৩ টি লোকসভা আসনের মধ্যে এখন শিরোমণি অকালির হাতে ৪ টি ও বিজেপির হাতে রয়েছে মাত্র ১ টি আসন৷ যেখানে কংগ্রেসের হাতে আছে ৪ টি ও আপের হাতেও আছে ৪ টি আসন৷ ফলে ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের আগে জোট শক্তিশালী করতে না পারলে পাঞ্জাবে যে এনডিএ জোট আরও জোর ধাক্কা খেতে পারে তা বুঝেই গেছেন বিজেপি নেতারা৷
অন্যদিকে নীতীশ কুমার, উদ্ধব ঠাকরে, ফারুখ আবদুল্লা, অখিলেশ যাদব সহ বিভিন্ন রাজ্যের নেতাদের নিজেদের জোটে টানতে উঠে পরে লেগেছেন সনিয়া গান্ধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ফলে, ফেডারেল ফ্রন্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মহড়া নিতে ও নিজেদের জোট ধরে রাখতে শেষ পর্যন্ত খুব তাড়াতাড়ি মাঠে নামতে হল বিজেপি ও তাদের সভাপতি অমিত শাহকে৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.