মালদহ: মালদহ জেলায় মোট ১২ কেন্দ্রে বিধানসভা নির্বাচন। শেষ দুই দফায় এখানকার নির্বাচন হবে। নির্বাচনের আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি তুঙ্গে। তবে অন্য সবকিছু ছাপিয়ে এবার জেলায় বিধানসভা নির্বাচনের মূল ইস্যু দুর্নীতি, বেকারত্ব, অপরাধ।
একদিকে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মাটি শক্ত করেছে কংগ্রেস। গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের কাছ থেকে একটি আসন ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। বিজেপির আগ্রাসন অন্যতম এবার বিধানসভা নির্বাচনে। পিছিয়ে পড়া মালদহ জেলার মানিকচক রতুয়া ও কালিয়াচক এলাকায় ভাঙ্গন অন্যতম সমস্যা।গঙ্গা ভাঙনে প্রতিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় কয়েক লক্ষ মানুষ। গোদের ওপর বিষফোঁড়া দেখা যায় বন্যাতে। ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকরা কাজ করতে যায়। তার মধ্যে মালদহ জেলা অন্যতম। প্রতিদিন এখানকার শ্রমিকরা হাজারে হাজারে লাখে লাখে ভিন রাজ্যে কাজ করতে যায়। করোনা পরিস্থিতিতে টানা লকডাউনে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অনেকে নিজের পেশা বদলে ফেলেছে। এটাও একটা অন্যতম ইস্যু এবার নির্বাচনে।
মালদহ জেলার বাসিন্দা মুর্শিদাবাদের ডোমকল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অনুরাধা সেনগুপ্ত বলেন, “ভাঙ্গনে প্রতিবছর গৃহহীন হয় কয়েক হাজার মানুষ।এই সমস্যা সমাধানের স্থায়ীকরণ প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্যা গভীর ভাবে দেখে স্থায়ীকরণ করার চেষ্টা করেনি। যে সরকার আসবে তার কাছে আশা করব এই সমস্যা সমাধানের।”
মালদহ ওমেন্স কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপিকা কৃষ্ণা গুহু বলেন, “অনেক সুবিধায় ভিন রাজ্যে কাজ করতে যায়। কিন্তু এবছর যে ভাবে কর্মহীন মানুষ হয়েছে এবং এই রাজ্যে এসে তারা সঠিক ভাবে অনেকেই কাজ পাইনি। ফলে দিনে দিনে দারিদ্র্য বাড়ছে। এদের পাশে এই সরকার কতটা দাঁড়িয়েছে এই ভোটে সেটাই প্রমাণিত হবে এদের ভোটে এবার অন্যতম।”
ধর্মীয় তাস নাকি বেকারত্ব, মালদহের ভোটে মহাজোট,মা লদহ পলিটেকনিক কলেজের অধ্যাপক দেবরাজ রায় চৌধুরী বলেন, “অপরাধ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। সম্প্রতি মালদহ জেলায় বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকা গুলি অপরাধীরাই নির্বাচনের কাজে ব্যবহার হয়। নির্বাচন কমিশন কতটা সক্রিয় থাকে এখন সেটাই দেখার।”
জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর বলেন, “বর্তমান রাজ্য সরকার শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ভাঙ্গন বন্যা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছে মানুষ তৃণমূলের পাশে রয়েছে। বিজেপি ভুল বোঝার চেষ্টা করছে। ধর্মীয় করন করার চেষ্টা করছে। কিন্তু মানুষ তাদের ফাঁদে পা দেবে না। মানুষ তৃণমূলের পাশেই থাকবে।এটাই দেখার।”
কংগ্রেসের মালদহ জেলার সভাপতি আবু হোসেন খান চৌধুরী বলেন, “দীর্ঘদিন মালদহ কংগ্রেসের ঘাঁটি। কিছু মানুষ দল বদল করেছে।আর গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল জোরজবস্তি করে পঞ্চায়েতগুলি দখল করেছিল। মানুষ তার জবাব লোকসভা নির্বাচনে তাদের দিয়েছে। আর বিজেপি সাম্প্রদায়িক তাস খেলছে। কিন্ত মালদহের মানুষ ধর্ম নিরপেক্ষ মানুষ। একবার তাঁরা বিজেপিকে ভোট দিয়ে ভুল করেছে তা বুঝতে পেরেছি। তারা বিজেপির পাশে দাঁড়াবে না।”
এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র মন্ডল বলেন, “এইবার মালদহ জেলায় প্রায় ছয়টি আসনে আমাদের জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এই আসন আরও বাড়বে। আর বিজেপিকে যে সাম্প্রদায়িক বলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কংগ্রেস সিপিএম আব্বাস সিদ্দিকী জোট করেছে সেটা সাম্প্রদায়িকতা নয়? আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগ করা? আর তৃণমূল কংগ্রেস নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে যে তোষণনীতি চালিয়েছে তার জবাব মানুষই দেবে। বিজেপি চাই সবকা সাথ সবকা বিকাশ। সবার উন্নতির জন্য এবং এই রাজ্যে সঠিক সুশাসনের জন্যই মানুষ বিজেপিকে আনতে চলেছে। মালদহ জেলা তা থেকে বাদ হবে না।”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.