কলকাতা: কার্যত চাপে পড়ে এবার বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে তৃণমূল। সংসদে বাদল অধিবেশনে বিজেপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাবে তৃণমূলের সাংসদরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনেই এই বিক্ষোভ কর্মসূচি তৃণমূলের। সূত্রের খবর, বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াতে সোমবার সকালে সংসদ ভবনের প্রধান প্রবেশদ্বারে ধর্নায় বসবে তৃণমূল। যদি ওই সময়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন বিদেশে।
সুষমা স্বরাজ-বসুন্ধরা রাজে-শিবরাজ সিংহের ইস্তফার দাবিতে সংসদ যখন উত্তাল, তখন কৌশলী অবস্থান নিয়েছিল মমতার দল। আগের অধিবেশনগুলিতে তৃণমূল সাংসদরা কখনও কালো কাপড়, কখনও লাল ডায়েরি, কখনও মাটির হাঁড়ি বা ঝুড়ি নিয়ে অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। কিন্তু চলতি অধিবেশনে সেই ছবি একেবারে অনুপস্থিত। হাতের সামনে ললিত মোদী বিতর্ক, ব্যপমের মতো গরম বিষয় থাকলেও ওয়েলে আসা দূরস্থান, নিজেদের আসনে দাঁড়িয়ে বাকি বিরোধীদের সঙ্গে গলা মেলাতেও দেখা যায়নি তৃণমূলীদের। সংবাদমাধ্যমের সামনে তৃণমূল সংসদীয় নেতৃত্বের গড়পড়তা জবাব, ‘কারও নাম করে নয়, আমরা সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ব্যপম কেলেঙ্কারির তদন্ত হওয়া দরকার।’
সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে নবান্নে সাংসদদের নিয়ে যে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, সেখানে তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন, প্রথম সপ্তাহে কোনও হইচই না করে দুই কক্ষের পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে। তাই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েনের কৌশলী ব্যাখ্যা ছিল, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে কারও পদত্যাগ চাওয়া অর্থহীন। কিন্তু এবার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নামছে তৃণমূল।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.