ওয়াশিংটন: মঙ্গলের মাটিতে নেমেছে নাসার রোভার পারসেভেব়্যান্স। লাল গ্রহে তৈরি হয়েছে তার নতুন বাড়ি। মঙ্গলের মাটিতে কেমন দেখতে লাগছে পারসেভেব়্যান্সকে? সম্প্রতি প্রকাশ্যে এল সেই ছবি।
১৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলে নেমেছে নাসার রোভার পারসেভেব়্যান্স। মঙ্গলের জেজেরো কার্টারে নেমেছে সে। তারপর থেকে একের পর এক ছবি পাঠাচ্ছে। এবার তারই একটি ছবি প্রকাশ পেল। ছবিটি প্রকাশ করেছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ)। ‘দি ট্রেস গ্যাস অরবিটার’ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এই ছবিটি পাঠায়। ছবিতে দুটি গর্তের মাঝখানে দেখা গিয়েছে নাসার রোভারকে। ছবিটি টুইটারে প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া রোভারের আশপাশে আরও একাধিক জায়গাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
There you are @NASAPersevere! I finally got the chance to take a photo of you in your new home 😊 #CountdownToMars
📷 @ExoMars_CaSSIS https://t.co/Zl2FhZ2Z8q #ExploreFarther #Mars pic.twitter.com/1CoOrs1r1S— ExoMars orbiter (@ESA_TGO) February 25, 2021
বিজ্ঞানীদের ধারণা, মঙ্গলগ্রহে কয়েকশো কোটি বছর আগে বিশাল একটি হ্রদ ছিল। সম্ভবত সেই হ্রদে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল বলেও ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। এবারের মঙ্গলাভিযানের প্রধান লক্ষ্যই হল লাল গ্রহে প্রাণের সন্ধান খুঁজে বের করা। রোভার প্রথমে যে দুটি ছবি পৃথিবীতে পাঠিয়েছে সেখানে ক্যামেরার লেন্সে ধুলোর আস্তরণের মধ্য দিয়ে তার সামনে ও পিছনের দিকটি দেখা যাচ্ছে। নাসার বিজ্ঞানীরা জানান, রোভারটি মঙ্গলগ্রহের উপরে থাকা ব-দ্বীপের মত চেহারার একটি অংশের দুই কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবতরণ করেছে। আগামী দু বছর এই এলাকাটিতেই পারসেভেব়্যান্স প্রাণের সন্ধান চালাবে। নাসার বিজ্ঞানীদের অনুমান, মঙ্গলগ্রহে পাথরের যে কোনও রকম অণুজীবের অস্তিত্ব সংরক্ষণের ক্ষমতা রয়েছে। ফলে অতীতে যদি মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব থেকেও থাকে, তাহলে এই পাথরের মধ্যে তার ইঙ্গিত মেলার আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।
মঙ্গলগ্রহে কোটি-কোটি বছর আগে যে হ্রদ ছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে সেখানে পলির মত সেডিমেন্ট দেখা গিয়েছে। বিজ্ঞানীরা লালগ্রহের এই অংশটি নিয়ে খুবই উৎসাহিত। এই এলাকাটি রোভাররের মারফত খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতে চান বিজ্ঞানীরা। তবে মঙ্গলগ্রহের বর্তমান আবহাওয়া বেঁচে থাকার অনুকূল নয় বলেই জানাচ্ছে বিজ্ঞানীরা। সেখানে আবহাওয়া এতই ঠাণ্ডা যে জল সেখানে তরল অবস্থায় থাকতে পারে না। তাছাড়া মঙ্গলগ্রহের বায়ুমণ্ডলের স্তরও খুবই পাতলা। সেই কারণেই সূর্যের চড়া আলোকরশ্মি এখানে পড়লে মাটির উপরিভাগের সব কিছু ধ্বংস করে দেয়। তবে বিজ্ঞানীদের ধারণা, মঙ্গলগ্রহের এখনকার পরিবেশের তুলনায় কয়েকশো কোটি বছর আগেকার ছবিটা এক ছিল না। সেই সময় মঙ্গলে জল ছিল বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের। এমনকী সূর্যের তাপের ফলে সৃষ্ট বিকিরণ মোকাবিলায় বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘন আস্তরণও ছিল বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.