সিওল: করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্ব জুড়ে ক্রমশ বেড়ে চলেছে। অনেকেই আক্রান্ত হওয়ার পর ভেবে পাচ্ছেন না যে, তাঁরা ঠিক কোথা থেকে আক্রান্ত হলেন। কেউ কেউ বলছেন যে তাঁরা বাড়ি থেকে বেরোননি, তা সত্বেও আক্রান্ত হয়েছেন। এবার সামনে এল এক সমীক্ষা, যাতে দেখা যাচ্ছে যে অনেক ক্ষেত্রেই বাড়ি থেকে না বেরিয়েও আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।
দক্ষিণ কোরিয়ার এপিডেমোলজিস্টরা এরকম একটি সমীক্ষা চালিয়েছিলেন। আমেরিকার Centers for Disease Control and Prevention বা CDC-তে এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে মানুষ বাড়ি থেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন।
সেই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায় ১০০ জনের মধ্যে মাত্র ২ জন বাইরে থেকে এই ভাইরাস নিয়ে এসেছেন। বাকিরা প্রত্যেকেই বাড়ির মধ্যে কোনও কিছু থেকে আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকি ১০ জনের মধ্যে একজন আক্রান্ত হয়েছেন পরিবারের কারও থেকে।
সাধারণত যখন বয়স্কদের শরীরে উপসর্গ দেখা দেয় তখনই সংক্রমণের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। কারণ এই বয়সী লোকজনের উপসর্গ দেখান দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বাড়িতে অল্পবয়সী কেউ আক্রান্ত হলে তার শরীরে হয়ত প্রথমে উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। ফলে সে বুঝতেও পারছে না যে সে আক্রান্ত। তার থেকেই বয়স্করা আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। ফলে বাড়ি থেকে না বেরোলেও আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন তাঁরা।
এরই মধ্যে অক্সফোর্ড থেকে সুখবর এসেছে একদিন আগেই। অক্সফোর্ডের প্রধান গবেষক অ্যান্ড্রু পোলার্ড জানিয়েছেন অক্সফোর্ডের গবেষকরা প্রথম মাইলস্টোন পার করে ফেলেছেন। এবার প্রোডাকশনের দিকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম বড় মাইলস্টোনে পৌঁছে গিয়েছি। যাতে দেখা যাচ্ছে যে ভ্যাক্সিনটি অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম। তবে এখনও আমাদের প্রমাণ করতে হবে যে এই ভ্যাক্সিন মানুষকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম।’
তিনি আরও বলেন, এই ভ্যাক্সিন কেমন সাড়া দিচ্ছে, তা জানতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। বিশেষত বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে তা জানাটা জরুরি।
তবে গবেষকদের সামনে এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হল প্রোডাকশন। এত বেশি মাত্রা ভ্যাক্সিন উৎপাদন করতে হবে যাতে গোটা পৃথিবীর কাছে তা পৌঁছে যেতে পারে।
অক্সফোর্ডের গবেষণা থেকে প্রাথমিক রিপোর্ট উঠে এসেছে, তাতে জানা যাচ্ছে যে এই ভ্যাক্সিন নিরাপদ, কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। এছাড়া, ইমিউনিটি বা প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলছে বলেও জানানো হয়েছে। সোমবারই এসেছে সেই রিপোর্ট।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.