ঔরাঙ্গবাদ: উত্তরোত্তর বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গত ৫ মাসে সর্বাধিক আক্রান্ত হল রাজ্যে। অক্টোবর মাসের পর রাজ্যে এই প্রথম সংক্রমণের অঙ্ক ১১ হাজার পেরলো। রবিবার রাজ্যে ১১ হাজার ১৪১ হাজার জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্যে এখন করোনা রোগীর সংখ্যা ৯৭ হাজার ৯৮৩ জন। যদিও মহারাষ্ট্রে সুস্থতার হার এই মুহূর্তে ৯৩.১৭ শতাংশ।
এদিকে করোনা সংক্রমণ বাড়ার ফলে ঔরঙ্গাবাদে জারি হয়েছে আংশিক লকডাউন। ১১ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত আংশিক লকডাউন চলবে এই শহরে। বিয়ে সহ অন্যান্য পাব্লিক অনুষ্ঠান বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে লকডাউন। করোনা সংক্রমণ বাড়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টাস্ক ফোর্সের সুনীল চৌহান, মিউনিসিপ্যাল কমিশনার আস্তিক কুমার পাণ্ডে, পুলিশ কমিশনার নিখিল গুপ্তা, পুলিশ সুপার মোক্ষদা পাটিল ও অন্যান্য শীর্ষ কর্তারা।
শুক্রবার এই শহের ৪৫৯ জন নতুন আক্রান্তের খবর মিলেছে। জেলায় এখনও পর্যন্ত ৫২ হাজার জন আক্রান্ত হয়েছেন। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২ হাজার ৯০০টি। ঔরঙ্গাবাদের জেলা প্রশাসন জানিয়েছে আংশিক এই লকডাউনে বাজার, মল ও সিনেমা হল বন্ধ থাকবে। এমনকী উইক এন্ডেও এগুলি খোলা হবে না। অজন্তা ও ইলোরার মতো পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ রাখার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বিয়ে বা অন্য কোনও অনুষ্ঠান হবে না।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি করোনার রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। যত বেশি সম্ভভ RT-PCR পরীক্ষা করানোর কথা বলা হয়েছে। ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ফলাফল নেতিবাচক এলেও RT-PCR করাতে হবে। করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রতিটি এলাকায় পরীক্ষার উপর জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে হয়েছে লকডাউন। করোনা বিধি না মানলে রাজ্যেও লকডাউনের ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী জানান, অমরাবতী থেকে প্রায় এক হাজার সংক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে। এটা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের সমস্ত প্রস্তুতি একেবারে তৈরি, কিন্তু সাধারণ মানুষকেও সতর্ক হতে হবে। সাধারণ মানুষ যদি মাস্ক না পরে, তবে লকডাউন করতে হবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.