লাহোর: করোনার জেরে সারা বিশ্বে বাইশ গজে প্র্যাকটিস বা ম্যাচ বন্ধ৷ কিন্তু প্রতিশ্রুতিময় ক্রিকেটারদের জন্য এবার অনলাইনে ক্রিকেট ক্লাসের ব্যবস্থা করতে চলেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড৷ রবিবার এমনই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পিসিবি৷ দেশের তারকা ক্রিকেটাররা দেশের প্রতিশ্রুতিময় ক্রিকেটারদের অনলাইনে ক্লাস করাবেন৷
জাভেদ মিয়াঁদাদ ও ওয়াসিম আক্রম থেকে শোয়েব আখতার৷ দেশের প্রথম সারির প্রত্যেক ক্রিকেটারকেই এই ক্লাসে অংশ নিতে দেখা যাবে বলে জানিয়েছে পিসিবি৷ করোনা ভাইরাসের কারণে সারা দেশে লকডাউন থাকলেও আইসিসি-র ক্রিকেট অপারেশ বিভাগের সঙ্গে সহযোগিতায় পাকিস্তান জাতীয় পুরুষ ক্রিকেট টিম ম্যানেজমেন্ট অনলাইন সেশনের ব্যবস্থা করতে চলেছে। সোমবার দুপুর থেকেই এই সেশন শুরু হবে৷
মিয়াঁদাদ, আক্রম ও আখতার ছাড়াও অনলাইন সেশনে অংশ নেবেন মহম্মদ ইউসুফ, মঈন খান, মুশতাক আহমেদ, রশিদ লতিফ এবং ইউনিস খান-সহ আরও অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটার তাঁদের সিরিজ বা ইভেন্টের আগে নেতৃত্বের কৌশল এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন৷ সেশনকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে৷ ব্যাটসম্যানদের জন্য মিয়াঁদাদ, ইউসুফ ও ইউনিস তিনটি পৃথক সেশনে প্রায় ২১ জন ব্যাটসম্যানের সঙ্গে কথা বলার বলবেন৷
এই সেশনে আক্রম ও আখতার-সহ মোট ১৩ জন ফাস্ট বোলার অংশ নেবেন৷ ছ’জন স্পিনারও অনলাইন সেশনে ক্লাস নেবেন৷ স্পিনারদের নেতৃত্ব দেবেন প্রাক্তন লেগ-স্পিনার তথা প্রাক্তন ইংল্যান্ড দলের স্পিনিং কোচ মুস্তাক আহমেদ৷ পাঁচ জন উইকেটকিপারের ক্লাস নেবেন দুই প্রাক্তন উইকেটকিপার মঈন খান ও রশিদ লতিফ৷
ব্যাটসম্যানদের ক্লাসে নেতৃত্ব দেবেন মিয়াঁদাদ৷ ‘আইসিসি ক্রিকেট হল অফ ফেম’-এ জায়গা পাওয়া প্রাক্তন এই পাক ব্যাটসম্যান দেশের হয়ে ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত খেলেছেন৷ ৩৫৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ১৬, ২১৩ রান করছেন কিংবদন্তি এই ব্যাটসম্যান৷
এক সরকারি বিবৃতিতে মিয়াঁদাদ বলেন, ‘আমি আমার যেভাবে ক্রিকেট দেখেছি এবং খেলছি সে সম্পর্কে আমি আমার চিন্তাভাবনা ভাগ করে নিতে ভালোবাসি৷ আমি সবসময় পাঠ্যপুস্তক ক্রিকেট খেলিনি, তবে খেলাটি নিয়ে গবেষণা করেছি এবং আমার প্রয়োজনীয়তা অনুসারে এটি সংশোধন করেছি৷ এই ভাবেই আমি সাফল্য পেয়েছি৷’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এই খেলোয়াড়দের সঙ্গে জড়িত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি৷ আশা করি, আমি তাদের আরও একটি দৃষ্টিভঙ্গি দিতে সক্ষম হব যা তাদের ব্যক্তিগত ও দলের পারফরম্যান্সকে বাড়াতে সাহায্য করব। এরা আমাদের খেলোয়াড় ও এটিই আমাদের দল, তাদের ভালো করতে আমি যা কিছু করতে পারি, সেদিকেই সর্বদা লক্ষ্য থাকবে৷’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.