মেলবোর্ন: প্রত্যাশা ছিলোই। আর সেই প্রত্যাশাপূরণ করেই আন্তর্জাতিক নারী দিবসে রেকর্ড গড়ল মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড। মহিলাদের কোনও ক্রিকেট ম্যাচে এদিন সর্বাধিক দর্শক সমাগম হল অভিজাত মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে মহিলাদের কোনও স্পোর্টিং ইভেন্টে সর্বাধিক দর্শক সমাগম এটাই।
এযাবৎ বিশ্বব্যাপী মেয়েদের কোনও স্পোর্টিং ইভেন্টে সর্বোচ্চ দর্শক সমাগম ঘটেছিল ১৯৯৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে। ক্যালিফোর্ণিয়ার রোস বোলে সেবার ৯০,০০০ দর্শক দেখেছিল চিনকে হারিয়ে যুক্ত্ররাষ্ট্রের খেতাব জয়। রবিবার অল্পের জন্য সেই রেকর্ড স্পর্শ করা না হলেও রবিবার ভারত-অস্ট্রেলিয়া টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল কিন্তু মহিলা ক্রিকেটকে পৌঁছে দিল আরেকটু উচ্চতায়। বিশ্বক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার হিসেব অনুযায়ী এদিন এমসিজি’তে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ফাইনাল দেখেছেন ৮৬,১৭৪ জন দর্শক। অচিরেই যা স্থান করে নিল রেকর্ডের পাতায়।
ঘটনাকে কুর্নিশ জানিয়েছে আইসিসি স্বয়ং। মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে তাদের অফিসিয়াল পেজে স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকার জন্য প্রত্যেককে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছে বিশ্বক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট অনুরাগীরা এদিন তারিয়ে তারিয়ে মেগ ল্যানিং অ্যান্ড কোম্পানির বিশ্বজয়ের স্বাদ তো নিলেনই, কিন্তু প্রথমবার টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে হরমনপ্রীতদের লড়াই চাক্ষুষ করতে মেলবোর্নের গ্যালারিতে এদিন ছিল নীল সমুদ্রও। যদিও মাঠে নেমে গ্যালারির প্রত্যাশার দাম একেবারেই দিতে ব্যর্থ ‘উইমেন ইন ব্লু’।
#T20WorldCup final attendance: 86,174
???? The highest for a women's sporting event in Australia
???? The highest for a women's cricket match globallyThank you everyone for making #IWD2020 one to remember ???? pic.twitter.com/Cpyf7T0gnv
— ICC (@ICC) March 8, 2020
গগনচুম্বী প্রত্যাশাকে একপ্রকার মাটিতে নামিয়ে এনে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হাইভোল্টেজ ফাইনালে করুণ আত্মসমর্পণ হরমনপ্রীত-মন্ধনাদের। দুই ওপেনার অ্যালিসা হিলি ও বেথ মুনির ব্যাটিং বিক্রমে এদিন মেলবোর্নে প্রথমে ব্যাট করে ভারতকে ১৮৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয় অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা। ৩৯ বলে ৭৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন মিচেল স্টার্ক পত্নী হিলি। মুনি অপরাজিত থাকেন ৫৪ বলে ৭৮ রান করে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে ভারতের ব্যাটিং লাই-আপ। মাত্র ৯৯ রানে অল-আউট হয়ে প্রথমবার বিশ্বজয়ের স্বপ্ন মেলবোর্নেই রেখে আসেন হরমনপ্রীতরা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.