মস্কো: রাশিয়ায় ফরাসি বিপ্লবের ফসল কিলিয়ান এমবাপে৷ বিশ্বকাপের মাঝপথে ফুটবল সম্রাট পেলের কীর্তি ছুঁয়েছিলেন ফ্রান্সের এই তরুণ ফরোয়ার্ড। রবিবার লুজনিকি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপে ফাইনালেও কিংবদন্তি ব্রাজিলীয় তারকার সঙ্গে উচ্চারিত হল টিনেজার ফরাসি খেলোয়াড়ের নাম।
১৯৫৮ বিশ্বকাপে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির পর কনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ফাইনালে গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করলেন এমবাপে। লুজনিকি স্টেডিয়ামে ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে ফ্রান্সের দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জেতে ফ্রান্স৷ ম্যাচের ৬৫ মিনিটে ফ্রান্সের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন ১৯ বছর ২০৭ দিন বয়সি এমবাপে। বাঁ-দিক থেকে লুকা হার্নান্ডেজের পাশ ধরে প্রায় ২২ গজ দূর থেকে বিশ্বকাপে তাঁর চতুর্থ গোলটি করেন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড।
People always ask me what it’s like to play in a World Cup final. Whatever the game, whatever the occasion, you play with passion. // As pessoas sempre me perguntam como é jogar uma final de Copa do Mundo. Não importa o jogo, não importa a ocasião, você joga com paixão. #WorldCup pic.twitter.com/AxjTuMFUxa
— Pelé (@Pele) July 15, 2018
বিশ্বকাপ ফাইনালে সবচেয়ে কমবয়সি খেলোয়াড় হিসেবে গোল করার রেকর্ড অবশ্য এখনও পেলের দখলেই। ১৯৫৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে সুইডেনের বিপক্ষে ৫-২ ব্রাজিলের জয়ে ১৭ বছর ২৪৯ দিন বয়সে জোড়া গোল করেছিলেন পেলে। দ্বিতীয় টিনেজার হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করা এমবাপেকে টুইটারে অভিনন্দন জানান ব্রাজিলের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ জয়ী পেলে।
শেষ ষোলোয় আর্জেন্তিনাকে ৪-৩ হারানোর ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন এমবাপে। সেটা ছিল পেলের পর প্রথম টিনএজার হিসেবে বিশ্বকাপের এক ম্যাচে একাধিক গোল করার কীর্তি। দলের সাফল্যে অবদান রাখতে পারার আনন্দে আত্মহারা এমবাপে। ম্যাচের পর ফরাসি ফরোয়ার্ড বলেন, ‘
আমি খুব খুশি। লম্বা পথ চলা ছিল৷ দেশবাসিকে খুশি করতে পেরে আমরা গর্বিত। তাদের সব সমস্যা ভুলিয়ে দেওয়ার দায়িত্বটা আমাদের ছিল। এ জন্যই আমরা খেলি। আমি স্রেফ ফুটবল খেলতে চাই না, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে চাই৷ আমি আরও ভালো করতে চাই৷ তবে এরই মধ্যে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা দারুণ অনুভূতি।’
Only the second teenager to have scored a goal in a #WorldCupFinal! Welcome to the club, @KMbappe – it’s great to have some company! // O segundo adolescente a marcar um gol em uma final de #CopaDoMundo! Bem-vindo ao clube, Kylian – é ótimo ter a sua companhia! https://t.co/g8b2gLTy7B
— Pelé (@Pele) July 15, 2018
এমবাপের মতো টুর্নামেন্টটা দুর্দান্ত কেটেছে অঁতোয়ান গ্রিজমানের। ফাইনালে দু’জনেই গোল করেছেন৷ টুর্নামেন্টে দু’জনেরই গোল সংখ্যা চারটি।
ইতিহাস গড়ার পর যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না ফরাসি ফরোয়ার্ড গ্রিজমানের। তিনি বলেন, ‘জানি না আমি ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছি! আমি সত্যিই খুশি। ম্যাচটা খুব কঠিন ছিল৷ ক্রোয়েশিয়া দারুণ খেলেছে। বিশ্বকাপটা ফ্রান্সে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে আমরা আর অপেক্ষা করতে পারছি না।’
ম্যাচ শেষে একই রকম উচ্ছ্বাস ফরাসি অধিনায়ক উগো লরিসের। দেশকে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জেতানোয় সতীর্থদের ধন্যবাদ জানান তিনি। লরিস বলেন, ‘ দেশবাসিকে খুশি করতে পেরে আমি আনন্দিত৷ তাদেরকে হাসতে দেখতে ভালো লাগে৷ আমরা এভাবেই আমাদের দেশকে দেখতে পছন্দ করি৷ আর ফুটবলের সে শক্তি রয়েছে। আমরা নিজেদের নিয়ে গর্বিত হতে পারি। অধিনায়ক হিসেবে ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরা দারুণ এক দারুণ অনুভূতি।’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.