কলকাতা: রবিবার টিটাগড়ে গুলি করে খুন করা হয় বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লাকে। বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং ঘনিষঠ এই বিজেপি নেতার খুনের ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুললেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধে টুইটে সুজন লিখেছেন ‘‘নৈরাজ্যের অন্ধকারে পশ্চিমবঙ্গ। মানুষের নিরাপত্তা কিংবা আইনের শাসন – এরাজ্যে কিছু কি অবশিষ্ট থাকছে, মাননীয়া?’’
রবিবার টিটাগড়ে বাইকে চেপে এসে জনাকয়েক দুষ্কৃতী গুলি করে খুন করে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লাকে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। যদিও বিজেপির সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে শাসক তৃণমূল। বিজেপি নেতা খুনে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই খুনের তদন্ত সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে মৃতের বাবা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন।
এই খুন ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি নেতৃত্ব তো বটেই এমনকী বামেরাও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিবেশের অবনতির অভিযোগ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে।
বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধে টুইটে লিখেছেন, ‘‘শ্যুটআউট! গুলি, খুন, লুঠ, ধর্ষন সবই অব্যাহত এরাজ্যে। শনিবার হাওড়ায়, রবিবার টিটাগড়ে, প্রতিদিনই শ্যুটআউট। নৈরাজ্যের অন্ধকারে পশ্চিমবঙ্গ। মানুষের নিরাপত্তা কিংবা আইনের শাসন – এরাজ্যে কিছু কি অবশিষ্ট থাকছে, মাননীয়া?’’
সূত্রের খবর, টিটাগড়ে বিজেপি নেতা খুনের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ৷ ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে মহম্মদ খুররর ও গুলাম শেখ নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজেও চলছে তল্লাশি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.