তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়া: ‘কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে খাই-খাই, বেচে খাই সরকার চলছে।’ বাঁকুড়ায় দলয় সভায় এভাবেই মোদী সরকারকে তুলোধনা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিধানসভা ভোট শিয়রে। তার আগে জেলায়-জেলায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে শাসক- তৃণমূল থেকে শুরু করে বিজেপি-সহ অন্য দলগুলি। রাজনৈতিক দলগুলির নেতাদের অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
বাঁকুড়ার সভায় কেন্দ্রের বেসরকারিকরণ নীতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কল্যাণ। এপ্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে দুষে তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্র কয়লা, রেল, বিমানবন্দর-সহ বেশ কিছু রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থার বেসরকারিকরণের উদ্যোগ নিয়েছে।’’
সভায় প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর বিষয় নিয়ে আবারও মুখ খুলেছেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ। এদিন অবশ্য শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আক্রমমাত্মক অবস্থান নেননি কল্যাণ। বরং টিপ্পনির সুরে তিনি বলেন, ‘‘যে চলে গিয়েছে তার বিষয়ে চিন্তা করে লাভ কি! যে যাওয়ার চলে যাও, শেষ দিন পর্যন্ত ভোগ করে যেও না।’’
নাম না করে শুভেন্দুকে নিয়ে বক্তব্য ছাড়াও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন এই তৃণমূল সাংসদ। ধনকড়কে একহাত নিয়ে তৃণমূলের এই আইনজীবি-সাংসদ বলেন, ‘‘রাজ্যপাল এখন বিজেপি ও এক শ্রেণীর ক্রিমিনাল ব্যবসায়ীদের আশ্রয়দাতা।’’
সম্প্রতি শাসকদলেরই বেশ কয়েকজন নেতা দলের কর্মপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সেই তালিকায় নাম রয়েছে কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষেরও। অতীন ঘোষের ‘বেসুরো’ বক্তব্য প্রসঙ্গে কল্যাণ বলেন, ‘‘কে সুরে বা বেসুরে গাইবে তাতে আমাদের কি এসে যায়? সুর একটাই নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সুরে যে গাইবে ঠিক আছে, না গাইলে…’।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.