স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: পশ্চিম বর্ধমানে তৃণমূলের জেলা সভাপতির পদ ফিরে পেলেন না পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এরপরই জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। রবিবার তিনি বললেন, ‘ওই চিঠির জেরে যদি পদ থেকে সরানো হয়ে থাকে, তা হলে আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাব।’
পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূলে নতুন সভাপতি করা হয়েছে দুর্গাপুরের প্রাক্তন বিধায়ক অপূর্ব মুখোপাধ্যায়কে। এমনকী দলের নতুন জেলা কমিটিতেও জায়গা পাননি জিতেন্দ্র। এদিন নতুন জেলা তৃণমূল সভাপতিকেও আক্রমণ করে বাবুল সুপ্রিয় বলেছেন, ‘নতুন জেলা তৃণমূল সভাপতি ইতিমধ্যে না জেনে উল্টোপাল্টা কথা বলতে শুরু করেছেন। আর তো কয়েক মাস তৃণমূল এই কালচার চালাবে। চলুক।’
কদিন আগেই আসানসোল পুরনিগমের দায়িত্ব দেওয়া হয় অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি আসানসোল পুরনিগমের বিদায়ী পুরবোর্ডের পুর চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি আসানসোল পুরনিগমের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে নিজের অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে দাঁড়ান বাবুল। আচমকাই আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন প্রশাসকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, “জিতেন্দ্র তিওয়ারির কাছে অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কাজ শেখা উচিত।”
প্রসঙ্গত, গত১৪ ডিসেম্বর তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন আসানসোল পুরনিগমের পদত্যাগী মুখ্য প্রশাসক তথা দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি। আসানসোলের অনুন্নয়নের জন্য পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি পুরমন্ত্রীকেই এক চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। তাতে তাঁর দাবি ছিল, রাজনৈতিক কারণে স্মার্টসিটি প্রকল্পের ২,০০০ কোটি টাকা আসানসোলকে নিতে দেয়নি রাজ্য সরকার। এমনকী বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের ১,৫০০ কোটি টাকাও একই কারণে পাননি আসানসোলবাসী। বদলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বললেও তা রাখেননি ফিরহাদ হাকিম।
এদিন সেই বিতর্কতি চিঠির প্রসঙ্গ তুলে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘জিতেন্দ্র তিওয়ারি ববি হাকিমকে দেওয়া চিঠিতে সবটাই ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইটে লিখেছেন। আমি যে মন থেকে কাজ করতে চেয়েছিলাম। সেটা আসানসোলের মানুষ বুঝতে পেরেছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই স্পিড ব্রেকার হয়ে বাধা দিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, ১৭ ডিসেম্বর জেলা সভাপতি ও পুরনিগমের দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেন জিতেন্দ্র।এই পরিস্থিতিতে তাঁর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। কিন্তু নাটকীয়ভাবে ঠিক দু’দিন পরেই আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কলকাতায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। দলের কাজেও যোগ দেন।
জিতেন্দ্র ইস্তফা দিতেই বেঁকে বসেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে জিতেন্দ্র তিওয়ারিও বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন বুঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ করেন তিনি। যে বাবুল সুপ্রিয়র অনিচ্ছায় বিজেপিতে গিয়েও আবার তৃণমূলে ফিরে আসতে হয়েছে জিতেন্দ্রকে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.