স্টাফ রিপোর্টার,জলপাইগুড়ি: চুরির অপবাদ দিয়ে নাবালিকা পরিচারিকাকে মারধর করার অভিযোগ উঠল এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ির ওল্ড পুলিশ লাইন এলাকায়৷পুলিশ সূত্রে খবর অভিযুক্ত আইনজীবির নাম অমিত কুমার৷
এদিন এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি শহরে। আইনজীবীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন পরিচারিকার বাবা জয়দেব সরকার৷ এদিন মেয়েটির বাবা অভিযোগ করে বলেন তার মেয়েকে আইনজীবী নিজের বাড়িতে অতিরিক্ত কাজ করাত৷ এমনকি অভিযুক্ত ব্যক্তি তার মেয়েকে মারধর এবং শারীরিক নিগ্রহ করে বলেও অভিযোগ জানান তিনি৷এদিন ঘটনাটি জানাজানি হতেই জলপাইগুড়ি চাইল্ড লাইনের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
জলপাইগুড়ি চাইল্ড লাইনের কর্মী অপর্ণা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, মেয়েটিকে চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে মারধর করা হয়েছে৷ যদিও মেয়েটি জানায় চুরির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয় সে৷ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। বাড়ির মালিক তাকে ব্যাপক মারধর করার ফলে ভয়ে পেয়েই চুরির কথা স্বীকার করেছিল বলেও দাবি করে সে৷
অন্যদিকে অভিযুক্ত আইনজীবী সুমিত কুমার তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, জলপাইগুড়ির সেন পাড়ার তিস্তার চর সংলগ্ন এলাকায় মেয়েটি থাকত৷ সেখানে ঘুরতে যাবার সুবাদে মেয়েটির দাদু ও মেয়েটির সঙ্গে তার দেখা হয়৷ মেয়েটির দাদু তাকে বলেন মেয়েটির বাবার আর্থিক অবস্থা খারাপ৷ ঠিক মত খেতেও দিতে পারেন না। ফলে মেয়েটির লালন-পালনের জন্য তার কাছে আবেদন জানায় ওই। সে মতও মেয়েটির বাড়ির লোকের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিয়েই তাকে সুমিতবাবু বাড়ি নিয়ে আসেন। এরপর থেকেইমেয়েটির পড়াশুনো, চিকিৎসা সহ যাবতীয় দায়দায়িত্ব তিনি পালন করতে থাকেন৷ কিন্তু বেশ কিছুদিন পর থেকেই তার বাড়ির জিনিস পত্র চুরি যেতে থাকে। পাড়ার প্রতিবেশি সহ পুলিশকেও বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি৷ সুমিতবাবু আরও জানান, মেয়েটি স্বীকার করেছে তার বাবা সন্ধ্যাবেলা তার বাড়ি আসত৷ তখন সুমিতবাবু ও তার পরিজনেরা বাড়িতে কেউ থাকতেন না। সেই সময় বাবার মদতে সে তার বাড়ি থেকে চুরির মালপত্র পাচার করত বলে অভিযোগ৷ সুমিতবাবু এই সমস্ত ঘটনা ইতিমধ্যেই পুলিশকে জানিয়েছেন৷অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ৷তবে তিনি বা তার বাড়ির কোন ব্যক্তি মেয়েটিকে মারধোর করেন নি বলে দাবি করেন সুমিত বাবু। এদিন তিনি আরও জানান আমি মেয়েটির পড়াশুনোর জন্য স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলে ভরতির ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। মেয়েটির পড়াশুনার জন্য এত কিছু করার পরও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোয় হতবাক তিনি৷
এদিন জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার মহিলা থানার সূত্রে খবর, নাবালিকা পরিচারিকাকে মারধোরের অভিযোগ জমা পরেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.