নয়াদিল্লি: চিনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক পিপলস ব্যাংক অফ চায়নার হাতে থাকা এদেশের গৃহ ঋণ প্রদানকারী সংস্থা হাউসিং ডেভলপমেন্ট ফিন্যান্স করপোরশন (এইচ ডি এফ সি) -এর কিছু শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ারহোল্ডারদের সম্পর্কে দেওয়া তথ্য এমনটাই জানাচ্ছে।
জুন মাসের শেষে অন্তত ভারতীয় এই সংস্থায় ১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে এমন সংস্থার তালিকা থেকে পিপলস ব্যাংক অফ চায়না বাদ পড়েছে। গত ৩১ মার্চ শেষ হওয়া অর্থবর্ষে পিপলস ব্যাংক অফ চায়না এইচডিএফসির ১৭.৫ মিলিয়ন শেয়ার বা ১.০১ শতাংশ শেয়ার দখলে ছিল।
কিন্তু তালিকায় নাম না থাকায় এখন বিষয়টি স্পষ্ট নয় ওই সংস্থায় চিনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মালিকানা আদৌ রয়েছে কি না। চিনের এই ব্যাংকটি অন্তত খোলাবাজারে তার হাতে থাকা কিছুটা শেয়ার বেচে দিয়েছে বলে একটি সংবাদ সংস্থা তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছিল। জানুয়ারি মাসে এইচডিএফসি র শেয়ারের দাম রেকর্ড উচ্চতায় যাওয়ার পর এপ্রিল মাসে প্রায় ৪০ শতাংশ দাম কমে যায়।
তবে ইতিমধ্যে প্রায় ২৭ শতাংশ দাম বেড়েছে। প্রসঙ্গত, এপ্রিল মাস নাগাদ গৃহঋণ প্রদানকারী সংস্থা এইচডিএফসি-তে চিনের পিপলস ব্যাঙ্ক অফ চায়নার ১.০১ শতাংশ শেয়ার কেনা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধে ছিল।
তাছাড়া ছোট মাঝারি সংস্থাদের একটি সংগঠনও করোনা মহামারীতে চিনা অধিগ্রহণের আশঙ্কা করছে বলে সরকারকে চিঠি দিতে দেখা যায়। তখন চিনা অধিগ্রহণ করতে পারে ভারতের সংস্থাকে এমন আতঙ্ক মাথাচাড়া দিতে নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় সরকার।
ফলে এফডিআই (বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ) নীতিতে পরিবর্তন আনা হয়। যাতে বলা হয়এবার থেকে কোনও কোম্পানি যার দেশের সঙ্গে ভারতের একই সীমানা রয়েছে সেই সংস্থা অটোমেটিক এফডিআই রুটে কোনও ভারতীয় সংস্থায় লগ্নি করতে পারবে না।
ওই বিদেশি কোম্পানিকে আগে ভারত সরকারের কাছে এই বিনিয়োগের কথা জানাতে হবে। এই মর্মে শিল্প বাণিজ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি প্রেস নোট দিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলির জন্য নয়া এফডিআই নীতির কথা বলা হয়েছে। যদিও চিনকে তখন ভারতের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছিল ।
তবে সম্প্রতি আবার ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় চিনা মাল বয়কটের আওয়াজ উঠেছে সেই সময় চিনা সংস্হার ভারতীয় সংস্থার শেয়ার বেচার ঘটনার আলাদা তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করছে শিল্প এবং রাজনৈতিক মহল।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.