হাওড়া: জগাছায় একটি বেসরকারি গোল্ড লোন সংস্থার দফতরে দিনে দুপুরে ডাকাতি৷ দুষ্কৃতীরা প্রায় ২৬ কেজি সোনার অলঙ্কার এবং কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছিল৷ খবর পেয়েই তৎপরতার সঙ্গে হাওড়া পুলিশ সব থানাকে ঘটনার কথা জানিয়ে দেয়৷ শুরু হয়ে নাকা চেকিং৷ বর্ধমানের নবাবহাট মোড় থেকে লুট হওয়া সমস্ত সোনা উদ্ধার করে পুলিশ৷
রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের জগাছা থানা এলাকার অধীনে মন্নাপুরাম গোল্ড লোনের পঞ্চাননতলা শাখায় একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বন্দুকের নিশানা করে প্রায় ২৫ কেজি সোনা লুট করে নেয় ৪ জন অপরাধী। নাকা তল্লাশির পর বর্ধমানের নবাবহাট মোড় থেকে লুট হওয়া সমস্ত সোনা উদ্ধার করা গেছে৷
শনিবার দুপুর ২টো নাগাদ পঞ্চাননতলার মন্নাপুরাম গোল্ড লোন শাখা থেকে এই ঘটনার খবর যায় হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের জগাছা থানার ওসির কাছে। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি উর্ধ্বতন অফিসারদের নজরে আনেন। জগাছা থানার পি.সি টিম যানবাহনের বিবরণ ও অপরাধীদের চিহ্নিত করতে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান৷
সম্ভাব্য রুটে দুর্বৃত্তদের তল্লাশি করার জন্য কয়েকটি পুলিশ টিম গঠন করা হয়েছিল। এমনকি হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগকে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কার্যকর করা হয়।
আরও ভালোভাবে সহায়তার জন্য তৈরি করা হয় একটি আন্তঃজেলা হোয়াটস্যাপ গ্রুপ। পুলিশের দল রুট চিহ্নিত করে। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে আসানসোল, এনএইচ সিক্স থেকে ঝাড়গ্রাম, এমনকি উত্তর চব্বিশ পরগনার নিবেদিতা টোল প্লাজা থেকে হাওড়া টাউন ছিল পুলিশের টার্গেট রুট। টিমের সাহায্যে একাধিক পয়েন্টে চলে নাকা তল্লাশি।
পূর্বপ্রাপ্ত বিবরণ অনুযায়ী অপরাধীদের শারীরিক বিবরণ এবং উচ্চারণ থেকে এটি বিহার বা ঝাড়খণ্ডের একটি গ্যাং বলে সন্দেহ করে পুলিশ। সেই অনুযায়ী জোর দেওয়া হয়েছিল মূলত দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে। সেখানে নেতৃত্বে ছিলেন ডিসিপি সাউথ এবং জগাছার ওসি।
প্রয়োজনীয় সতর্কতা দেওয়া ছিল চন্দননগর, হুগলি এবং পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশকেও। ধীরে ধীরে অপরাধীদের যানবাহন সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা তৈরি হয়৷
পূর্ব বর্ধমানের এসপি, বীরভূমের এসপি এবং আসানসোলের সিপির সঙ্গে প্রত্যেক মুহূর্তে যোগাযোগ ছিল সিপি এইচপিসি’র (CP HPC)। পালসিট টোল প্লাজাকে টার্গেট করে পুলিশ। কিন্তু সেখান থেকে অপরাধীরা কোনোভাবে পালিয়ে যায়।
এরপর পূর্ব বর্ধমান পুলিশের অধীনে নবাবহাট মোড়কে টার্গেট করা হয়। এই চত্বরের কাছেই সন্দেহভাজন একটি গাড়িকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু অপরাধীরা পুলিশের নজর এড়িয়ে দ্রুত চম্পট দেয়। তবে গাড়ি থেকে সমস্ত সোনা উদ্ধার করা সম্ভব হয়৷ অপরাধীদের খোঁজে তলছে তল্লাশি৷
দুষ্কৃতীরা অফিসের ঢোকেই প্রথমে গ্রাহক ও কর্মচারীদের একটি ঘরে আটকে রাখে৷ এমনকি তাদের মোবাইল ফোনও কেড়ে নেওয়া হয়৷ তারপর দুষ্কৃতীরা লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ৷ প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, জগাছায় বেসরকারি গোল্ড লোন সংস্থার দফতর থেকে প্রায় ২৬ কেজি সোনার অলঙ্কার এবং কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে ডাকাতদল৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.