নয়াদিল্লি: সিবিডিটি চেয়ারম্যান পি সি মোদী কর আধিকারিকদের আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, ফেসলেস অ্যাসেসমেন্ট ব্যবস্থার জন্য আয়কর দপ্তরে ব্যাপক হারে বদলি এবং বর্তমান যে কর্মীশক্তি রয়েছে তা আদৌ কমানো হবে না। দুই আধিকারিক এমনটাই জানিয়েছে বলে একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে প্রতিবেদন বের হয়েছে।
ফেসলেস অ্যাসেসমেন্ট ব্যবস্থা সম্পর্কে কর আধিকারিকদের ধন্দ দূর করতে তাদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠক করেন সিবিডিটি চেয়ারম্যান। কারণ আধিকারিকদের মধ্যে একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল এই
ফেসলেস অ্যাসেসমেন্ট ব্যবস্থার ফলে দফতরে কর্মী সংকোচন করা হতে পারে।
সিবিডিটি চেয়ারম্যান এবং সদস্যরা ব্যাখ্যা করেছেন কেমন করে এই ফেসলেস ব্যবস্থা প্রয়োগ করা হবে। নয়া ব্যবস্থা সম্পর্কে যে ভুল ধারণা এবং আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে দফতরে অফিসারদের মধ্যে সেটা তিনি দূর করতে চান বলে জানান।
তিনি ইঙ্গিত দেন , এই নতুন ব্যবস্থা চালু হবে বর্তমান কর্মীদের নিয়েই এবং তারা যেখানে যেমন আছেন তাদের সেখানে রেখেই। সিবিডিটি চেয়ারম্যানের যুক্তি এই ফেসলেস ব্যবস্থা আয়কর দপ্তর সম্পর্কে যে জনগণের মনে যে নেতিবাচক ধারণা আছে সেটা দূর হবে।
গত ১৩ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘ সৎ করদাতাদের সম্মান দিতে স্বচ্ছ কর ব্যবস্থা’ চালু করেন। এর মাধ্যমে কর ব্যবস্থার সংস্কার জোরদার হবে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। কর প্রদানের ক্ষেত্রে এই প্লাটফর্মটি আরও সহজ করা হবে বলে সেদিন দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন এক্ষেত্রে কর ব্যবস্থায় তার নজর তিনটি শব্দের মধ্যে Seamless painless, faceless।
সৎ করদাতাদের সম্মান দেওয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম বলে উল্লেখ করে মোদী বলেছিলেন, সব করদাতাদের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে জাতীয় উন্নয়নে। আর তার জন্য এক্ষেত্রে তিনি ফেসলেস অ্যাসেসমেন্ট ও ফেসলেস অ্যাপিলের পাশাপাশি করদাতাদের জন্য সনদের ব্যবস্থা হচ্ছে এই নয়া প্লাটফর্মে।
তিনি উল্লেখ করেন, এর মাধ্যমে বড় সংস্কার করা হচ্ছে কর ব্যবস্থায়। ওই দিন থেকেই ফেসলেস অ্যাসেসমেন্ট এবং করদাতাদের সনদ চালু হলেও , ফেসলেস অ্যাপিল চালু করা হবে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে বলে তিনি জানান।
আপাতত ফেসলেস অ্যাসেসমেন্ট ব্যবস্থা শুরু হলেও ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী এই ব্যবস্থা চালু করার প্রস্তাব দেন। এই ফেসলেস ব্যবস্থায় আয়করের হিসেব-নিকেশ বা অ্যাসেসমেন্ট করার জন্য করদাতার আয়কর অফিসারের মুখোমুখি হবার দরকার হবে না , যেতে হবে না আয়কর অফিস। কার অ্যাসেসমেন্ট কোথায় হবে সেটা কম্পিউটার ঠিক করবে। আয়কর নোটিশ কেন্দ্রীয়ভাবে জারি করা হবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.