স্টাফ রিপোর্টার, তমলুক: বেড ছেড়ে দিয়ে রাস্তায় ছুটছে মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী৷ তাঁকে ধরতে গিয়ে কার্যত হিমশিম খেতে হল পুলিশ ও নার্সদের৷ শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলে৷
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী গত বুধবার থেকে মহিষাদলের বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি ছিলেন৷ অন্যান্য দিনের মত সে চিকিৎসারত অবস্থায় শুক্রবার সকালেও হাসপাতালের বেডে শুয়ে ছিলেন৷
আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের পর এবার উচ্চমাধ্যমিকেও সেরা বাঁকুড়া
এমন সময় এদিন সকাল ১০টা নাগাদ ওই রোগী হাসপাতালের সমস্ত নার্সদের নজর এড়িয়ে নিজের সমস্ত স্যালাইন খুলে ফেলে রাস্তায় ছোটাছুটি করতে থাকে৷ হঠাৎই এই দৃশ্য নজরে আসে হাসপাতালের নার্স ও পুলিশের। তাঁরা ওই রোগীকে দেখে ধরার জন্য তার পিছন পিছন দীর্ঘক্ষণ ধরে ছোটাছুটি করতে থাকে।
এমনকি ওই রোগীকে ধরতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে পুলিশ ও নার্স উভয়েই। তবে দীর্ঘক্ষণ ছোটাছুটির পর অবশেষে ওই রোগীকে ধরতে পারে তাঁরা। এরপর তাঁরা ওই মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীকে পুনরায় হাসপাতালে ধরে নিয়ে আসে৷ শুরু করে চিকিৎসা৷
তবে ওই রোগী আবারও নানাভাবে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে৷ পাশাপাশি অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসায় বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টাও করে৷ তাই বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানাতরিত করে। সেখানেই এখন তাঁর চিকিৎসা চলছে।
আরও পড়ুন: ফার্স্ট ডিভিসনে পাস করতে না পেরে আত্মঘাতী ছাত্রী
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীর নাম অতনু মন্ডল(১৮)। তাঁর বাড়ি মহিষাদল ব্লকের কালিকাকুন্ডু এলাকায়। সে গত বুধবার বিশ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এরপর তাঁকে তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করেন। শুক্রবার এমন ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অতনুর পরিবার পরিজন ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে হারিয়ে সফল সোনু
শুক্রবার এমন ঘটনা ঘটার পর চিকিৎসকদের দাবি, আমাদের এখানে ঠিক মতো নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। বিশেষকরে রাতে নিরাপত্তা জন্য এখানে তেমন কোনও নিরাপত্তা রক্ষী নেই। ফলে এমন ধরণের ঘটনা ঘটছে।
আরও পড়ুন: ১১ জুন পুরুলিয়া যাবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই তমলুকে এক বেসরকারি নার্সিংহোম থেকে রোগী নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছিল। তার ঠিক একমাস হতে না হতেই ফের এমন ঘটনা দেখা গেল। ফলে জেলার চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলাবাসী।
আরও পড়ুন: মালদহে তৃণমূল কর্মী খুনে অভিযুক্ত কংগ্রেস
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.