মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে বলিউডের তাবড় অভিনেতা, পরিচালকদের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করেছে। সেই তালিকায় সলমনের নাম রয়েছে উপরের দিকেই। তাঁর বিরুদ্ধেও উঠেছে স্বজন পোষন সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
দাবাং ছবির পরিচালক অভিনব কাশ্যপ আগেই মুখ খুলেছিলেন সলমনের বিরুদ্ধে। এবার ফের একটি বিস্ফোরক পোস্ট করেছেন। এবার নিশানায় সলমনের চ্যারিটি সংস্থা Being Human. পরিচালকের অভিযোগ চ্যারিটির নামে আর্থিক তছরূপ চলে ওই সংস্থায়।
তাঁর দাবি, ওই চ্যারিটি আসলে লোক দেখানো। ওর পিছনে অন্য গল্প রয়েছে। এটা আসলে সলমনের বাবা সেলিম খানের পরিকল্পনাতেই এই সংস্থা তৈরি হয়েছে বলে দাবি অভিনব কাশ্যপের।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে পরিচালক লিখেছেন, ‘দাবাংয়ের শ্যুটিং চলাকালীন দেখেছি, গরিবদের ডেকে পাঁচটা সাইকেল দেওয়া হয়েছে। পরের দিন খবরের কাগজে বেরিয়েছে যে ৫০০ টা সাইকেল বিতরণ করা হয়েছে।
তাঁর দাবি, পরিচাকের গুন্ডা ইমেজ ভালো কররা জন্যই এই প্রচেষ্টা, যাতে কোর্টে কেস চলাকালীন সলমনের উপর সহানুভূতি তৈরি হয় বিচারকের। এমনকি সলমনের ওই সংস্থায় ৫০০ টাকার জিনস ৫০০০ টাকায় বিক্রি করা হয় বলেও দাবি করেছেন তিনি। অভিনব কাশ্যপ আরও বলেন, ‘মানুষের চোখে ধুলো দিয়ে আসলে দাব কররা নামে টাকা তোলার কাজও হয় সলমনের ওই সংস্থায়। এই বিষয়ে দ্রুত তদন্তেরদাবিও জানিয়েছেন তিনি।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরে বলিউডের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের ভাই অভিনব কাশ্যপ। অভিনব জানিয়েছেন বলিউডের নেপোটিজম এর শিকার হয়েছেন সুশান্ত।
তাঁর দাবি ‘দাবাং’ ছবিতে পরিচালনার কাজ করার পরে তার কেরিয়ার নষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছিলেন সলমন খান, আরবাজ খান ও সোহেল খান। এই মর্মে ফেসবুকে একটি লম্বা পোস্টও করেন তিনি। সলমন খানকে বয়কট করার বার্তাও দিয়েছেন অভিনব।
প্রসঙ্গত অভিনব কাশ্যপ তাঁর ফেসবুক পোস্টে জানান দাবাং ছবিটি সফল হওয়ার পর যখন দাবাং টু এর কাজ শুরু করেন তখন এই ঘটনার শুরু। এমনকি অভিযোগ তাঁদের কথা মতন না চললে খুন ও পরিবারের মহিলাদের ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হয় অভিনবকে।
অভিনবের ছবি ‘বেশরম’ মুক্তি পাওয়ার আগেই তাকে নিয়ে নেগেটিভ পাবলিসিটি করা হয় বলেও দাবি করেন তিনি। কিন্তু সুশান্তের মৃত্যুর পর বলিউডের এই ধরনের পক্ষপাতিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করার ডাক দিয়েছেন অভিনব কাশ্যপ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.