স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়করা এখন তাঁকে নিয়ম করে আক্রমণ করছেন। কিন্তু কোনও ‘অপমান’ই যে তাঁর গায়ে লাগে না, সেটা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রবিবার ফের টুইট করলেন তিনি। ধাঁধায় ভরা সেই টুইটে তিনি লিখেছেন,” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তাঁদের ত্রিমূর্তি- ‘_b/a_/_k’ যতই কৌশল করুক, আমাকে আটকাতে পারবে না। আমি অবিচলই থাকব।”
কোন তিনজনকে রাজ্যপাল নিশানা করেছেন সেটাই কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। ধাঁধার সমাধান তিনি রাজ্যের মানুষকেই করতে বলেছেন। ধাঁধার সমাধান করার চেষ্টাও করছেন কেউ কেউ। তাঁরা বলছেন, ডেরেক ও ব্রায়ান, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কাকলি ঘোষ দস্তিদারকেই রাজ্যপালের বার্তা দিয়েছেন।
তৃণমূলের সাংসদদের একাংশ রাজ্যপালকে তুলধোনা করছেন। তাঁদের মধ্যে এই তিন সাংসদও রয়েছেন। তাঁরা বলছেন, রাজ্যপালের যদি রাজনীতিই করতে হয়, তাঁর যদি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ওঠার বাসনা থাকে, তা হলে ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির পার্টি অফিসে গিয়ে বসুন। তার পর ভোটে লড়ুন।
Undeterred by sinister ploys @MamataOfficial of ‘troika’ _b/a_/_k would vigorously be in service of people of West Bengal.
My stance like ‘cotton’ -Alas-It cannot be compressed beyond a limit !
No time for scapegoats @MamataOfficial. Engage in mitigating woes of people.(1/2)
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) May 10, 2020
শুধু তাই নয়, গত সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে পত্রাঘাতে বলেছেন, ভুলেও দ্বৈতশাসনের স্বপ্ন দেখবেন না। প্রশাসনিক অধিকার রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীরই। রাজ্যপালের যে কোনও অধিকার বা ক্ষমতা নেই তা সরকারিয়া কমিশন, সংবিধান সভার বিতর্ক, সুপ্রিম কোর্টের বিবিধ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন। কিন্তু রবিবার টুইটারে রাজ্যপাল বুঝিয়ে দিয়েছেন, শাসক দলের ভুল ধরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে তিনি অপ্রতিরোধ্য। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে রাজ্যপাল লিখেছেন, “কাউকে বলির পাঁঠার করার সময় এটা নয়। মানুষের দুর্দশা দূর করতে কাজ করুন।”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.