ঢাকা: কোটি কোটি টাকার বেআইনি কারবার, ভুয়ো করোনা টেস্ট রিপোর্টে হাজার হাজার মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার চাঁইরা ধৃত। চলছে তদন্ত। বিশ্বজুড়ে আলোচিত এই জালিয়াতির পর বিতর্কের মুখে পদত্যাগ করলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. আবুল কালাম আজাদ। যদিও তিনি পদত্যাগ পত্রে কী লিখেছেন তা জানানো হয়নি।
মনে করা হচ্ছে প্রবল বিতর্কের মধ্যে পড়েই তিনি পদত্যাগ করেছেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানোর পর একাধিক অভিযোগে জর্জরিত হচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। চিকিৎসা সংক্রান্ত সরঞ্জাম কিনতে দূর্নীতি এবং ভুয়ো করোনা রিপোর্ট তৈরির চক্র ঘিরে বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ চালাচ্ছে অন্যতম বিরোধী দল বিএনপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি।
অভিযোগ, সরকারি দলের এক শ্রেণীর নেতাদের মদতেই জালিয়াতি চলেছে। যদিও আওয়ামী লীগ জানায়, কোনও অবস্থায় দোষীরা ছাড় পাবে না। ইতিমধ্যে করোনা টেস্ট জালিয়াতিতে জড়িত দুটি বেসরকারি সংস্থা রিজেন্ট গ্রুপ এবং জেকেজি কর্ণধারদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
রিজেন্ট কর্ণধার আরিফ ও তাঁর স্ত্রী সাবরিনা চৌধুরীর সঙ্গে প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের যোগসাজস স্পষ্ট। তদন্তে এও উঠে এসেছে বাংলাদেশ সরকারের করোনা মোকাবিলা তহবিলের ৫০০ কোটি টাকার অংশ পেতে মরিয়া ছিল রিজেন্ট গ্রুপ।
অন্যদিকে জেকেজি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাহেদ করোনা টেস্ট জালিয়াতি করে ভারতে পালানোর আগে সীমান্তের কাছেই ধরা পড়ে। তার সঙ্গেও একাধিক প্রশাসনিক কর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের যোগাযোগ সূত্র পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
বিশ্বজুড়ে মারণ ভাইরাস করোনা মোকাবিলার সময় বাংলাদেশের এই দুটি বৃহৎ জালিয়াতির ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে শোরগোল। সূত্রের খবর, বিতর্কের জেরেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
২০১৬ সালে থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের এপ্রিলে তিনি অবসর। ফের দু’ বছরের চুক্তিতে তাঁকে পুনর্নিয়োগ করে আওয়ামী লীগ সরকার। ডা. আজাদের পদত্যাগের পর স্বাস্থ্য অধিদফতরের নতুন মহাপরিচালক কে হচ্ছেন, তা নিয়ে সর্বত্রই ব্যাপক আলোচনা চলছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.