অকল্যান্ড: রানার্স হয়েই বিশ্বকাপ থেকে মঙ্গলবার দেশে ফিরল ব্রেন্ডন ম্যাকালাম অ্যান্ড কোং৷ এদিন ভোর চারটে নাগাদ অকল্যান্ড বিমানবন্দরে পা রাখে ব্ল্যাকক্যাপসরা৷ বিমানবন্দরে প্রায় শপাঁচেক মানুষ উপস্থিত ছিলেন ম্যাকালামদের স্বাগত জানাতে৷ বিমানবন্দের নেমেই মন খারাপ করা খবরটা সংবাদমাধ্যমকে দিয়ে দিলেন দলের দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত যোদ্ধা ড্যানিয়েল ভেত্তোরি৷ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আলবিদা জানিয়ে দিলেন তিনি৷ ভেত্তোরি বললেন,‘ শেষ ছ’সপ্তাহ ধরে মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছি তা আমি আগে কখনও দেখিনি৷ অসাধারণ ভাবেই আমার দীর্ঘদিনের ক্রিকেটের যাত্রা শেষ করলাম৷ বিশ্বকাপ জিততে পারলে অবশ্যই ভালো লাগত৷ তবে দলের পারফরম্যান্সে আমি গর্বিত৷’ আইসিসিও ভেত্তোরির অবসরের খবর ট্যুইট করে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷
৩৬ বছর বয়সি এই বাঁ-হাতি স্পিনার বলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংটাও দারুণ করতেন৷ চলতি বিশ্বকাপেই আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একটি নতুন মাইলস্টোন স্পর্শ করেছেন ভেত্তোরি৷ নিউজিল্যান্ডের প্রথম কোনও বোলার হিসেবে ওয়ানডে’তে ৩০০টি উইকেট নেওয়ার নজির গড়েছেন তিনি৷ ২০০৯-এ টেস্ট ক্রিকেটে ৩০০ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি৷ কিউইদের হয়ে একমাত্র ভেত্তোরি ছাড়া এর আগে টেস্টে ক্রিকেটে এই নজির ছিল কিংবদন্তি বোলার রিচার্ড হ্যাডলির৷
ড্যানিয়েল ভেত্তোরি ও ব্রেন্ডন ম্যাকালাম৷ সতীর্থ কম, বন্ধু বেশি৷ শুধু নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটে নয়, বিশ্বক্রিকেটেও ভেত্তোরির অবদান অপরীসিম৷ বিশ্বকাপ শেষ হলেই তিনি অবসর নেবেন একথা জানতেন অনেকেই৷ শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল৷ অবসরে ঢলে পড়া ভেত্তোরিকে বিশ্বকাপের ঠিক আগেই জাতীয় দলে ফেরানো কিউই টিম ম্যানেজমেন্টের মাস্টারস্ট্রোক৷ বিশ্বকাপের মাঝপথেই বাঁ-হাতি স্পিনারের ভূয়সি প্রশংসা করে ম্যাকালাম বলেছিলেন, ‘দুর্দান্ত কেরিয়ার৷ শুধু নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটে নয়, বিশ্বক্রিকেটে ভেত্তোরি এক দারুণ অ্যাম্বাসাডর৷ জীবনের প্রায় অর্ধেকটাই ক্রিকেটের জন্য কাটিয়ে দিয়েছে ভেত্তোরি৷ ১১৩টি টেস্টে ৩৬২টি উইকেট এবং সাড়ে চার হাজারের বেশি রান করেছেন ভেত্তোরি৷
Daniel Vettori officially announced he has played his last game for the @BLACKCAPS #BacktheBlackCaps ^PT pic.twitter.com/QQ2GV7snbK
— BLACKCAPS (@BLACKCAPS) March 31, 2015
Daniel Vettori has announced his retirement from international cricket – Use #ThanksDaniel to pay your tributes pic.twitter.com/ZfsWNwh1Q4
— ICC (@ICC) March 31, 2015
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.