স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: আমফানের প্রভাব বাংলা ছাড়াও উড়িষ্যাতেও পড়েছে। রাজ্যের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড একরাতে ভেঙে গিয়েছে। কেন্দ্রের সরকার এই বিপর্যয়কে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করা হোক। প্রেস বিবৃতি দিয়ে এই দাবি জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র।
বৃহস্পতিবার বিবৃতিতে প্রদেশ সভাপতি লিখেছেন, “আমফানের প্রভাবে বাংলার ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখনও সরকারি স্তরে ঘোষণা করা হয়নি ঠিকই, তবুও যা খবর পাচ্ছি তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। এই বিপর্যয় সামলানোর জন্য সব স্বীকৃতি রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। আমরা করোনা নিয়েও বারবার রাজনীতি না করার কথা বলেছি। আজও বলছি রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মানুষের পাশে থাকুক।”
তিনি আরও লিখেছেন, “দক্ষিণবঙ্গের প্রতিটি জেলায় সব কাঁচা বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। জমির ফসল শেষ হয়ে গিয়েছে। গ্রাম পেরিয়ে শহরেও এই সাইক্লোনের প্রভাব মারাত্মক। মৃত ও আহত মানুষদের জন্য তাঁদের ব্যাংকের খাতায় সরকারি আর্থিক সাহায্যের দাবি জানাচ্ছি।” উল্লেখ্য, এদিনই মৃতদের পরিবারের জন্য আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমেন মিত্র এও বলেছেন, “রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের দাবি, সরকারি স্তরে আধিকারিকদের নির্দিষ্ট দায়িত্ব দিয়ে, দলদাস না হয়ে প্রতিটি বিপর্যস্ত মানুষের জন্য কাজ করতে বলুন।”
প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বাংলাকে আর্থিক সাহায্য করার আবেদন জানিয়েছেন।
এদিন টুইট করেন পশ্চিমবঙ্গের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লিখেছেন, “এই পরিস্থিতিতে গোটা দেশ পশ্চিমবঙ্গের পাশে আছে। মানুষ যাতে সুস্থ থাকে, সেই কামনা করি। সবকিছু স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। সাইক্লোন বিধ্বস্ত অঞ্চলগুলোতে কাজ করছে এনডিআরএফ।”
মোদী আরও বলেছেন, কেন্দ্রের শীর্ষকর্তারা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে সবরকম যোগাযোগ রেখে কাজ করছে। ওডিশাকেও সাহায্য করার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.