স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: লকডাউনের সময় মিটার রিডিং না নিয়ে কীভাবে গড় বিল তৈরি করা হয়েছে, তা নিয়ে বেসরকারি বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা CESC’কে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ আগস্ট। লকডাউন চলাকালীন CESC’র বিদ্যুতের বিলগুলি (রিডিংয়ের পরিবর্তে গড়ে) বাতিল করার দাবিতে রজনীশ কলাবতী নামে এক ব্যক্তি একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন কলকাতা হাইকোর্টে।
তাঁর প্রশ্ন ছিল, মিটার রিডিং না নিয়ে কোন তথ্যের ভিত্তিতে ৪ মাসের গড় বিল পাঠানো হয়েছে? এছাড়াও বিদ্যুতের বর্ধিত মাশুলের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেছেন মামলাকারী।
তাঁর আরও অভিযোগ, গ্রাহকদের মোবাইলে যে বিল পাঠানো হয়েছে তাতে কোনও পূর্ণাঙ্গ তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি বিল তৈরির ক্ষেত্রে বেশ কিছু অসংগতি রয়েছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে সিইএসসিকে হলফনামা দায়ের করে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, লক ডাউন পরবর্তী সময়ে অস্বাভাবিক বিল নিয়ে অনেক অভিযোগ আসছে। গ্রাহকদের হয়রানি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। বাড়তি বিদ্যুতের বিল নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষোভ জানাতে শুরু করেছেন গ্রাহকরা। তাঁরা বিলের অঙ্ক জানিয়ে প্রতিকার চেয়েছেন।
এমনকি খোদ বিদ্যুৎমন্ত্রীর এমাসে চার গুন বেশি বিল এসেছে। পরে রাজ্যের কাছে সিইএসসি তরফে বিদ্যুৎ বিল জুন মাসে বেশি কেন, তার ব্যাখা দেওয়া হয়েছে।সিইএসসি কর্তৃপক্ষের সাফাই, লকডাউনের সময় প্রভিশনাল বিল তৈরি হয়েছিল আগের ছ’মাসের গড় বিলের হিসেবে।
মিটার রিডিংয়ের পরে পুরো বিদ্যুৎ খরচ আসছে। তাই টাকাটা বেশি। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হননি বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, জুন মাসের নতুন বিল যত ক্ষণ না সিইএসসি পাঠাচ্ছে, টাকা দেবেন না।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.