কলকাতা: সাইক্লোন আমফানে বিপর্যস্ত বাংলা। তিনদিন কেটে গেলেও স্বাভাবিক করা যাচ্ছে না পরিস্থিতি। ভয়ঙ্কর এই দুর্যোগে অসহায় মানুষ। শুধু অসহায় অবস্থায় থাকা নয়, এবার ধীরে ধীরে ক্ষোভও বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। আর তা যথেষ্ট বুঝতে পারছে নবান্ন। আর তাই এই পরিস্থিতিতে সেনার সাহায্য চাইল নবান্ন। একই সঙ্গে রেল, পোর্ট সবাইকেই এগিয়ে আসার আহ্বান স্বরাষ্ট্রদফতরের তরফে।
এই বিষয়ে টুইট করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে। যেখানে বলা হয়েছে যে, রাজ্যে আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রশাসনের তরফে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। ২৪ ঘন্টা-সাতদিন কাজ করে চলেছে সমস্ত কর্মীরা। কিন্তু আরও কর্মীর প্রয়োজন। আর সেজন্যে সেনা, রেল এবং বন্দর কতৃপক্ষের কাছে সাহায্যের জন্যে আবেদন রাজ্যের তরফে।
রাজ্যের তরফে টুইটে আরও আবেদন, পানীয় জল পরিষেবা, নিকাশী ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে দ্রুত কাজ চলছে। কিন্তু কাজের জন্যে আরও কর্মীর প্রয়োজন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দফতর থেকে কর্মী চাওয়া হয়েছে। এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফের কর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চালাচ্ছে। কিন্তু তাঁদের সাহায্যের জন্যে সেনা, বন্দর এবং রেলওয়ের তরফে সাহায্য চেয়ে আবেদন করা হয়েছে দফতরের তরফে।
GOWB mobilizes maximum strength in unified command mode on 24×7basis for immediate restoration of essential infrastructure and services asap. Army support has been called for;NDRF and SDRF teams deployed; Rlys,Port & private sector too requested to supply teams and equipment(1/3)
— HOME DEPARTMENT – GOVT. OF WEST BENGAL (@HomeBengal) May 23, 2020
প্রসঙ্গত, তিনদিন কেটে গেলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। জেলায় একাধিক জায়গায় নেই বিদ্যুৎ, পানীয় জল। যার ফলে বিপর্যস্ত মোবাইল নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেটও। কিন্তু এগুলি না হলেও চলে, কিন্তু প্রবল গরমে বিদ্যুৎ আর জল না থাকলে কি চলে। ক্ষোভ বাড়ছে। আঁচ পাচ্ছে নবান্নও। আর সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.