নয়াদিল্লি : একদিকে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারাড হবে, অন্যদিকে ট্রাক্টর মিছিল। এবার দিল্লিতে এরকম দুটি ছবি দেখতে পাবে গোটা দেশ। এমনই হুঁশিয়ারি কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইতের। তিনি বলেন কৃষি আইন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। নয়তো আন্দোলনের মাত্রা আরও বাড়বে। তাঁদের দাবি দাওয়া না মানা হলে প্রজাতন্ত্র দিবসে অন্য সুর বাজবে দিল্লির বুকে।
ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ান নেতা রাকেশ টিকাইত বৃহস্পতিবার বলেন নিজেদের দাবি সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন কৃষকরা। কোনওভাবেই কোনও চাপের কাছে তাঁরা মাথা নোয়াবেন না। দিনে যত যাবে আন্দোলন তত চড়া হবে। ২০২৪ সাল পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে কৃষকরা। তবে এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা সরকারের সঙ্গে আলোচনাও চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। আলোচনার রাস্তা তাঁদের তরফে খোলা রয়েছে।
এরই সঙ্গে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের দিকেও তাকিয়ে রয়েছেন বলে জানান রাকেশ টিকাইত। ২৩শে জানুয়ারি থেকে গোটা দেশের কাছে সাহায্য প্রার্থনা ও সমর্থন চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন টিকাইত। রাকেশ জানান মহারাষ্ট্রের কৃষকদের কাছে সমর্থন মিলেছে। এবার তাঁরা ওডিশা, কর্ণাটক ও হিমাচল প্রদেশের কৃষকদের থেকে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করবেন। বিভিন্ন রাজ্য থেকে সমর্থন এলে বেশ চাপে পড়বে কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিকে, দিন কয়েক আগে, বিতর্কিত এই আইন নিয়ে বড়সড় ধাক্কা খায় মোদী সরকার। বিতর্কিত কৃষি আইন কার্যকর করার উপরে স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। গত কয়েকদিন ধরে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছিল। মঙ্গলবার এই শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে৷ একই সঙ্গে চার বিশেষজ্ঞকে নিয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ যে কমিটি আইন নতুন তিনটি আইন খতিয়ে দেখবে।
শুধু তাই নয়, এই কমিটি সবপক্ষের মতামত শুনবে৷ সেখানে আন্দোলনরত কৃষকদের যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া না পর্যন্ত তিনটি কৃষি আইনের উপরে স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে৷ এ দিনের আদালতের রায়ের পর কৃষক সংগঠনের নেতারা দাবি করছেন, তাদের আন্দোলনের জয় হল৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.