স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: সরকারি কর্মসূচি ‘দুয়ারে সরকার’কে হাতিয়ার করে যখন দরজায় দরজায় পৌঁছনোর চেষ্টায় রাজ্যের শাসকদল, তখন পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি হেস্টিংসের পার্টি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন, ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায় শুরু করছেন তাঁরা। প্রচারপত্র হাতে নিয়ে ১ কোটিরও বেশি নাগরিকের দরজায় পৌঁছবে বিজেপি।
মঙ্গলবার থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার অভিযান। এই অভিযানে রাজ্যের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছবেন সরকারি আধিকারিকরা। কেউ কোনও সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কি না তার খোঁজ নিয়ে প্রকল্পের আওতাধীন করার ব্যবস্থা করবেন তাঁরা। পঞ্চায়েত ও পুরসভা এলাকায় ধাপে ধাপে ২০ হাজার শিবির খুলে মানুষের অভাব অভিযোগ শুনবেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। প্রথম দিনেই ওই কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া মিলেছে দাবি শাসক দলের। শিবিরগুলিতে ২ লক্ষেরও বেশি নাম নথিভুক্ত হয়েছে।
বুধবার শাসকদলের পালটা কর্মসূচির কথা ঘোষণা করলেন দিলীপ ঘোষ। জানালেন, ৫ তারিখ থেকে শুরু হবে এই কর্মসূচি। ওইদিন থেকে সব বুথে বুথে এই অভিযান শুরু হবে। ১ কোটির বেশি মানুষের কাছে যাবে বিজেপি নেতা-কর্মীরা। বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের দুর্নীতি, অত্যাচার ও স্বৈরাচারের কথা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তুলে ধরবে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তও। তিনি বলেন, ‘‘গ্রামবাংলায় একটি স্লোগান সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়েছে। তা হল ‘চাল চোর সরকার’। লকডাউনের সময় কেন্দ্র যে চাল পাঠিয়েছিল তাতেও দুর্নীতি করেছে তৃণমূল। ভাল চাল খোলা বাজারে বিক্রি করে, পচা চাল বিলি করা হয়েছে।’’
এদিন সাংবাদিকদের দিলীপ ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী দলীয় মঞ্চ থেকে সরকারি প্রকল্প ঘোষণা করছেন। তার পর সরকারি টাকা ব্যবহার করে দলের ছেলেরা দলের পতাকা বাইকে বেঁধে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। এভাবে সরকারি টাকায় দলের প্রচার করা যায় না। এব্যাপারে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হওয়া যায় কি না তা বিবেচনা করছি। দরকারে নির্বাচন কমিশনের কাছে যাব।
জবাবে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘দুয়ারে সরকার প্রকল্পে ভয় পেয়েছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে মানুষের দোরগোড়ায় সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছেন তাতে তারা আতঙ্কিত। তাই কর্মসূচি রুখতে আদালতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে তারা’।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.