স্টাফ রিপোর্টার, কল্যানী: গয়েশপুরে বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যুর প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা৷ সোমবার কল্যাণী, গয়েশপুর, সল্টলেক, বেহালা, হরিদেবপুর, ঠাকুরপুকুর, ডানকুনি সহ রাজ্যের একাধিক থানায় বিক্ষোভ দেখান তারা৷ এদিন মিছিল করার জন্য কল্যাণী থেকে ৬ জন বিজেপি কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে, এদিন সকাল ৬টা থেকে ১২ ঘণ্টা কল্যাণী এবং গয়েশপুর বনধের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু এই বনধে তেমন সাড়া দেখা যায়নি। সব দোকানপাটই খোলা ছিল। রাস্তায় যানবাহন চলাচলও ছিল স্বাভাবিক৷ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিজেপির বন্ধকে আদৌ গুরুত্বই দেননি সাধারণ বাসিন্দারা। ফলে বন্ধ কার্যত ‘ফ্লপ’ বলেই দাবি তাঁদের। বিজেপির তরফে এ নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
রবিবার সকালে নদিয়ার গয়েশপুর থেকে উদ্ধার হয়েছে বিজয় শীল নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ। ৩৪ বছরের বিজয় শীল বিজেপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। বিজয় শীলের মৃত্যু নিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয় অভিযোগ করেন, ”রাজ্যে বিজেপির প্রভাব বাড়ছে, তাই আতঙ্ক তৈরি করতে বিজেপি কর্মীদের খুন করা হচ্ছে।” এই ঘটনায় সরাসরি তৃণমূলকে দায়ী করেছে বিজেপি।
এদিকে, তৃণমূলেরও দাবি বিজয় শীল তাদের কর্মী ছিলেন। দুটি রাজনৈতিক দল তাঁদের কর্মী বলে দাবি করলেও বিজয় শীলের পরিবারের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে তাঁদের ছেলে বিজয় কোনওদিন রাজনীতি করেনি। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিজয়ের যোগাযোগ ছিল না।
স্থানীয় বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তৃণমূল সমর্থকরা তাঁর উপর হামলার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরই জগন্নাথ সরকারের অনুগামীদের পালটা স্লোগান দিতে শোনা যায়, ‘এবার থানা জ্বলবে।’
এদিন যাদবপুরে থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে বিজেপি নেত্রী শর্বরী মুখোপাধ্যায় বলেন, “বর্তমান সরকার কানে তুলো গুঁজে আছেন। প্রতিদিন কেন বিজেপি কর্মীকে কেন খুন হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী জবাব দিচ্ছেন না। সাধারণ মানুষ জানতে চাইছে বিরোধী রাজনীতি কি অপরাধ। আমরা বিচার চাই”
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বিজয় শীল। এরপর আর ফেরেননি। রবিবার সকালে এলাকার গয়েশপুর শ্মশানের আমবাগানে তাঁর দেহ ঝুলতে দেখেন এলাকাবাসী। এরপরই পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, বেশ কয়েকজন তাঁকে রোজই প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিত। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বিজয় এলাকায় পরিচিত। কারণ তিনি রান্নার গ্যাস সরবরাহের কাজ করতেন। কোনও রাজনীতি করতেন কিনা তাঁদের জানা নেই। তাদের বক্তব্য, এই মৃত্যুকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলো ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে।
এদিকে পুলিশ বিজয় শীলের মৃত্যুর ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে। সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে এটা আত্মহত্যা। এখনও এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.