তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়াঃ তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিশ্বাস করেনা। তাই ২০১৮ সাল থেকে হাওড়া সহ রাজ্যের কোনও পুরসভায় ভোট হয়নি। দাবি বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর।
বাঁকুড়া শহরে সদ্য প্রয়াত তিন সিপিআইএম নেতা নকুল মাহাত, সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় ও হীরালাল পাল এর স্মরণ সভায় যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নির্দিষ্ট সময়ে ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রে বিগত বাম সরকার নজির সৃষ্টি করেছে দাবি করেন বিমান বসু।
তিনি আরও বলেন, পুর-ভোট করার দাবিতে তারা রাজ্যের সব পুরসভা ও জেলাশাসকের দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ সমাবেশ করবেন। আসন্ন বিধানসভা ভোটে রাজ্যে ‘মিমে’র অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ওরা আসছেন না আনা হচ্ছে সে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় এখনো আসেনি। তবে ধর্মীয় মেরুকরণের বিরুদ্ধে বামেরা লাগাতার লড়াই চালিয়ে যাবে।
একই সঙ্গে তিনি আরো বলেন, তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী সব কটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা যৌথ আন্দোলনে নামতে প্রস্তুত। বিধানসভা ভোটে বাম-কংগ্রেস জোট প্রসঙ্গে বিমান বসু বলেন, যৌথ আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যা কলকাতা সহ সারা রাজ্যেই হবে। তবে আসন রফা নিয়ে এখনো তেণন কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই তিনি জানান।
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কি বিধানসভায় ‘অনাস্থা’ প্রস্তাব অনা হবে? এপ্রশ্নের উত্তরে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বলেন, শুনছি দু’দিনের বিধানসভা অধিবেশন ডাকা হবে। আর দু’দিনের অধিবেশনে এই কাজ সম্ভব নয়। তবে কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব ও আইন আনার জন্য বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্ত্তী ও বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান চিঠি দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
এদিন শহরের লালবাজার কমরার মাঠে প্রয়াত তিন সিপিআইএম নেতা নকুল মাহাত, সত্য ব্যানার্জী ও হীরালাল পাল এর স্মরণ সভায় বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র, জেলা সম্পাদক অজিত পতি, রাজ্য কমিটির সদস্যা দেবলীনা হেমব্রম প্রমুখ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.