কলকাতা: ইডির নামে জাল নথি তৈরি করে তোলাবাজি৷ এমনই অভিযোগ ব্যবসায়ী সুদীপ্ত রায়চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৷ ৷তাকে মঙ্গলবার তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে বিধাননগরের গোয়েন্দা পুলিশ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, বিধাননগর উত্তর থানায় ইডির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর অভিযোগ করেছিলেন, যে সদর দফতরে একটি চিঠির সঙ্গে ইডির নামে কিছু নথি জমা পড়েছিল৷ ইডির দাবি,ওই নথি নকল৷
তারপরই তৎপর হয়ে উঠে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)৷ তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে আজ মঙ্গলবার বিধাননগরের গোয়েন্দা পুলিশ ব্যবসায়ী সুদীপ্ত রায়চৌধুরীকে গ্রেফতার করল৷
ধৃত সুদীপ্তর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৩০, ৪৬৮, ৪৭১, ৪৭২, ৪৭৪ এবং ১২০বি ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ৷ ধৃত সুদীপ্তকে আজ বিধাননগর আদালতে তোলা হয়েছে৷ সেখানে সুদীপ্তকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করবে বলে জানিয়েছে বিধাননগর সিটি পুলিশ।
সুদীপ্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশি জানতে চাইবে,তার সঙ্গে আর কে কে জড়িত রয়েছে৷ এবং কার কার কাছ থেকে ইডির নাম করে টাকা নেওয়া হয়েছে৷ সূত্রের খবর, যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, সেই তালিকায় রাজনৈতিক নেতাও আছে৷
এর আগে রোজভ্যালিকাণ্ডে ব্যবসায়ী সুদীপ্ত রায়চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছিল ইডি৷ অভিযোগ,রোজভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডু ইডিকে জানিয়েছে, তদন্তকারীদের ম্যানেজ করতে তার কাছ থেকে দু’কোটি টাকা নিয়েছে সুদীপ্ত রায়চৌধুরী৷ এমনকি একথাও বলেন, টাকা দিলে রোজভ্যালি কর্তাকে গ্রেফতার করা হবে না৷ শুধু তাই নয় সুদীপ্ত রায়চৌধুরী রোজভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডুকে কয়েকজন কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসারের নামও বলেন৷
সেই সময় ব্যবসায়ী সুদীপ্ত রায় চৌধুরীকে জেরা করে উঠে এসেছিল চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ দুর্নীতিতে যুক্ত সুপারিনটেনডেন্ট পদ মর্যাদার অফিসার সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্তা৷
একজন নয়, তালিকায় রয়েছে সাত জনের নাম৷ আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন বিপুল সম্পত্তির জন্য ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী সুদীপ্ত রায় চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছিল এফোর্সমেন্ট ডিরেকটরেট(ইডি)।তারপর সে জামিন পায়৷ এবার ফের পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল সুদীপ্ত৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.