সংগীতের স্বীকৃতি শ্রোতার দরবারে৷ আর সংগীতস্রষ্টার স্বীকৃতিও বোধহয় সেখানেই৷ তবু স্রষ্টার সঙ্গে শ্রোতার তো দেখা না হওয়ার কথা৷ আর তাই শ্রোতার তরফে তাঁদের কুর্নিশ জানানোর কাজটা এতদিন বাকিই থেকে যেত৷ গত চারবছর ধরে সে কাজটি করে চলেছে ‘মির্চি মিউজিক অ্যাওয়ার্ড’৷ এবছর ছিল এই অ্যাওয়ার্ডের পাঁচে পা৷
শহরের সঙ্গীতপ্রেমীরা এ অ্যাওয়ার্ডকে আদরে কলকাতার গ্র্যামি বলেন৷ তা মন্দ বলেন না৷ সংগীত দুনিয়ার সৃষ্টি ও স্রষ্টাদের নিয়ে এতবড় সেলিব্রেশনের আসর শহরে আর দ্বিতয়টি নেই৷
২০১৫ তে বেসিক অ্যালবামের গান ও ছায়াছবির গান মিলে গানের মোট সংখ্যা ২০০০৷ তার মধ্য থেকে সেরাটা বেছে নেওয়া কম কথা নয়৷ মির্চি মিউজিক অ্যাওয়ার্ডের অভিজ্ঞ বিচারকরা মাসখানেক আগে থেকেই সে কাজ শুরু করে দেন৷ প্রতিষ্ঠিত শিল্পীর স্বীকৃতি থেকে উঠতিদের উৎসাহ দেওয়া-নিপুণ বিচারে এ কাজটিই করে চলে মির্চি মিউজিক অ্যওয়ার্ড৷
এবারের অ্যাওয়ার্ড সেরিমোনিতে জীবনকৃতি সম্মান জানানো হল কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী আরতি মুখোপাধ্যায়কে৷
সংগীত ও সিনেদুনিয়ার মানুষরা এই অ্যাওয়ার্ড সেরিমোনির জন্য মুখিয়ে থাকেন৷ কারও অ্যালবামের গান তো কারও ছবির গান থাকে সেরা হওয়ার অপেক্ষায়৷ যেমন এবছরের সেরা গান হল, ‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’ ছবির ‘বন্ধু চল’ গানটি৷ সেরা কম্পোজার হলেন উফল সেনগুপ্ত৷ সেরা গীতিকার অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়৷ সেরা পুরুষকণ্ঠ অরিজিৎ সিং, সেরা নারীকণ্ঠ শ্রেয়া ঘোষাল৷
পুরস্কার বিতরণের পাশাপাশি ছিল হাজারো মজার আয়োজন৷ মীর, আবির চট্টোপাধ্যায় ও বিশ্বনাথ বসুর সঞ্চালনায় যেমন হেসে কুটোপাটি হয়েছেন দর্শক৷ তেমনই শ্রাবন্তী থেকে দেবের উপস্থিতি বাড়িয়েছে অনুষ্ঠানের গ্ল্যামার৷
মজা-হাসি-পারফরমেন্স…আর এসবের মধ্যেই সংগীত দুনিয়াকে সম্মান জানানোর কাজটি ধারাবাহিকভাবে করে চলেছে মির্চি মিউজিক অ্যাওয়ার্ড ৷
ছবি- শশী ঘোষ
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.